গাজার পুনর্গঠনে দরকার ৬০০ কোটি ডলার
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ সর্বাত্মক হামলায় ব্যাপক ধ্বংসের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ গৃহচ্যুত হয়েছে। গাজা পুনর্গঠনে ব্যয় হবে অন্তত ৬০০ কোটি ডলার। ফিলিস্তিনের উপপ্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ মোস্তফা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা আশা করছেন, দাতারা বড় অঙ্কের সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেবে। ২০০৯ সালে হামাসের সাথে ইসরাইলের তিন সপ্তাহের লড়াইয়ে বিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনের জন্য আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন প্রতিশ্রুত প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের মাত্র ছোট একাংশ পাওয়া গিয়েছিল।
মোস্তফা রয়টার্সকে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে গৃহহীন লোকদের আশ্রয় দিতে তাদের বাড়িঘর পুনর্নির্মাণই হবে তাৎক্ষণিক বড় সমস্যা। আমাদের হিসেবে চার লাখেরও বেশি মানুষ ইসরাইলি হামলায় তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে।’
মোস্তফা বলেন, লড়াই বন্ধের পরই দাতাদের সম্মেলন ডাকার ব্যাপারে পশ্চিমতীরভিত্তিক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সরকার ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব বিশ্ব ও বিশ্বব্যাংকের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে।
হামাসের অন্যতম মিত্র কাতার এ পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় উদারহস্তে দান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ধনাঢ্য এ আরব দেশ গত বছর গাজার পুনর্গঠন প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলারেরও বেশি ব্যয় করে। একজন কাতারি কর্মকর্তা জানান, তারা মানবিক সহায়তায় অর্থ দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে তারা সরাসরি হামাসকে কোনো অর্থ দেবে না। এবারের চার সপ্তাহের ইসরাইলি হামলায় ক্ষয়ক্ষতি ২০০৯ সালের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। ইসরাইলি বাহিনীর বেপরোয়া হামলা ব্যাপক ধ্বংসের সৃষ্টি করেছে। বর্বর দেশটির গোলার আঘাতে মানুষের শত শত বাড়িঘর ও কলকারখানা ধুলার সাথে মিশে গেছে। এসব মাত্র পাঁচ বছর আগে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল। ঘনবসতিপূর্ণ উপত্যকাটিতে ১৮ লাখ মানুষের বসবাস। এর এমন কোনো সড়ক, গ্রাম ও উদ্বাস্তুশিবির নেই যা জালেম দেশটির হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে।
মোস্তফা বলেন, ‘এক লাখ হাউজিং ইউনিট নির্মাণ করা প্রয়োজন। ফিলিস্তিন সরকারের একটি কমিটি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ সবেমাত্র শুরু করেছে। প্রাথমিক হিসেবে এ জন্য দরকার অন্তত ৬০০ কোটি ডলার। গাজায় বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোও নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে গাজার ওপর ইসরাইলের আট বছরের অবরোধ প্রত্যাহার এবং মিসরের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার দাবি জানাচ্ছে।