অ্যাসাঞ্জের জন্য লন্ডন পুলিশের ১ কোটি ১২ লাখ ডলার ব্যয়
অনুসদ্ধানী ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ওপর নজর রাখতে ব্রিটিশ সরকারের দৈনিক ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার ডলার। লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় গ্রহণের পর তার ওপর নজর রাখছে ব্রিটিশ সরকার।
কথিত ধর্ষণের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুইডেনে ফেরৎ পাঠানোর চেষ্টা করা হলে গ্রেফতার এড়াতে ২০১২ সালের জুন মাসে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। তখন থেকে গত ৭৭৭ দিনে তার পেছনে নজরদারি বাবদ ব্রিটিশ জনগণের দেয়া আয়কর থেকে এক কোটি ১২ লাখ ডলার ব্যয় করেছে দেশটির সরকার। আজ (বুধবার) সকালে এ তথ্য দিয়েছে গভওয়েস্টডটসিওডটইউকে কাউন্টার নামের একটি ওয়েবসাইট।
লন্ডনস্থ ইকুয়েডরের দূতাবাসের ওপর লন্ডনের তিন পুলিশ কর্মকর্তা ২৪ ঘণ্টা নজর রাখছেন। অ্যাসাঞ্জ কোনোভাবে দূতাবাসের বাইরে আসলে বা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে।
ইকুয়েডর কর্তৃপক্ষ বলেছে, যতদিন খুশি দূতাবাসের নিরাপদ আশ্রয় থাকতে পারবেন অ্যাসাঞ্জ। ফল লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের নজরদারির খরচ দিনে দিনে বাড়তে থাকবে এবং শেষ পর্যন্ত তা কোথায় গিয়ে ঠেকবে সে বিষয়ে কোনো ধারণা করা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাপক পরিমাণ এ অর্থ ব্যয় নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন বলেছেন, নজরদারির নামে এভাবে অর্থের পুরোটাই অপচয় করা হচ্ছে। লন্ডন এসেম্বলির পুলিশ এবং অপরাধ সংক্রান্ত কমিটির উপ প্রধান ব্যারোনেস জেনি জোন্স বলেন, এটা পাগলামি ছাড়া আর কিছু নয়। এ অর্থ সুইডিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আদায় করা হোক আর না হয় দূতাবাসের ওপর নজরদারি বন্ধ করে দেয়া হোক। তার মতে, মহাবোকামি করছে ব্রিটিশ সরকার।