বরিসের আগমনে ক্যামেরনের স্বস্তি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভয়াবহ আগ্রাসনের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন দেশটির মন্ত্রিসভার প্রথম মুসলিম মহিলা সদস্য ব্যারোনেস সাঈদা ওয়ার্সি। তার এই বিদায়ে ব্র্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন স্বস্তিতে রয়েছেন। কারণ হিসেবে জানা যায়, মন্ত্রিসভার একমাত্র ব্যারোনেস সাঈদা ওয়ারসি-ই গাজা হামলার বিপক্ষে মুখর ছিলেন। যা নিয়ে ক্যামেরনকে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে ।
অন্যদিকে সাইদা ওয়ার্সির পদত্যাগের একদিন পরই লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন আগামী বছরের হাউস অব কমনস নির্বাচনে সংসদ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষনা দেন। তার এ ঘোষনার পর প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন বলেন, এটা সত্যিই অনেক ভাল সংবাদ যে বরিস জনসন পার্লামেন্টে ফিরে আসার পরিকল্পনা করছেন। কনজারভেটিভ পার্টিতে ডেভিড ক্যামরেনের জায়গায় বরিস জনসন স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বলে ধারনা করছে বৃটেনের রাজনৈতিক মহল।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভয়াবহ আগ্রাসনের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করে সাহসীকতার পরিচয় দেন দেশটির সিনিয়র পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারোনেস সাঈদা ওয়ারসি। তার এই পদত্যাগকে সাহসী ও উদার গণতন্ত্রের পরিচয় বলেও মনে করছেন আন্তর্জাতিক মহল।
ওয়ার্সি তার পদত্যাগের বিষয়ে মঙ্গলবার এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আজ সকালে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি। গাজার ব্যাপারে সরকারের নীতির প্রতি আমার আর কোনো সমর্থন নেই।
সাঈদা ওয়ারসির পদত্যাগের খবরে মেয়র বরিস জনসন দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, আশা করা যায় তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবার ফিরে আসবেন। গাজা ইস্যুতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান না নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন নিজ দল ও বিরোধী লেবার পার্টির সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ওয়ার্সি ২০১০ সাল থেকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ এবং ফেইথ অ্যান্ড কমিউনিটিস বিষয়ক সিনিয়র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার আগে তিনি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির কো-চেয়ারপারসন ছিলেন। কনজারভেটিভ পার্টিকে ক্ষমতায় আনার পেছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ব্যারোনেস ওয়ার্সী।