বারাকাহ মানি ট্রান্সফারের মামলা
চ্যানেল এস টেলিভিশনকে ৭৩ হাজার পাউন্ড জরিমানা
পূর্ব লন্ডনের বারাকা মানি ট্রান্সফার এর বিরুদ্ধে চ্যানেল এস টেলিভিশন ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ মানহানিকর এবং মিথ্যা রিপোর্ট প্রচার করায় ৭৩ হাজার পাউন্ড জরিমানা করেছে হাই কোর্ট। গত ০৫ আগষ্ট পূর্ব লন্ডনের একটি স্থানীয় রেষ্টুরেন্টে সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানান বারাকাহ মানি ট্রান্সফারের হাফিজ মাওলানা আব্দুল কাদির।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন , বিগত ৫ ডিসেম্বর ২০১১ চার ডাকাত আমাকে আক্রমন করে নগদ ৩ লাখ দশ হাজার পাউন্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায় এই ডাকাত দলই আবার ১৫ অক্টোবর ২০১২ আরও ৩০ হাজার পাউন্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ৫ ডিসেম্বর ২০১১ থেকে ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত অনেক কষ্ট করে আমি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এমতাবস্থায় আমার ৪ বেড রুম হাউস বিক্রয় করতে বাধ্য হই। আমাদের সম্পর্কে গ্রাহদের কোন অভিযোগ ছিল না যা এখনো নেই। হঠাৎ ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ চ্যানেল এস টেলিভিশন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট রিপোর্ট প্রচার করায় আমি এবং বারাকা মানি ট্রান্সফার মানহানীর সম্মুখীন হই। অত্যন্ত বিব্রতকর পরিস্থিতি ও অনেক অসুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহক সংখ্যাও কমে যায়। আমি চ্যানেল এস এর কাছে লিখিতভাবে উক্ত রিপোর্টের ব্যাখ্যা দাবী করি এবং ক্ষমার নোটিশ প্রচারের জন্য বলি। এতে কোন উত্তর না পেয়ে আমার সলিসিটর এর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাই। তারপরও আমি চ্যানেল এস কর্তৃপক্ষের কোন সাঁড়া পাই নাই, পরবর্তীতে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্মান রক্ষার্থে আমি হাই কোর্টের শরণাপন্ন হই, মহামান্য কোর্ট চ্যানেল এস এর বিরুদ্ধে আমার মামলা গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, এই মামলার প্রেক্ষিতে চ্যানেল এস আইনী কার্যক্রম যথাযথভাবে পালন না করায় ২৬ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে জাস্টিস নিকোল কর্তৃক চ্যাানেল এস টেলিভিশনকে ১৯হাজার ১৬ পাউন্ড জরিমানা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। দীর্ঘদিন আমরা মামলা পরিচালনা করি। যুক্তিকর্ত উপস্থাপন শেষে মাননীয় বিচারক ২৪ জানুয়ারী ২০১৪ তারিখে হাই কোর্ট অব জাস্টিস কুইস বেঞ্চ ডিভিশন ভিফর মাস্টার ইস্টম্যান চ্যানেল এস টেলিভিশন কে দোষী স্বাব্যস্ত করে রায় প্রদান করেন। গত ২ এবং ৩ জুলাই ২০১৪ সালে পূণাঙ্গ শুনানী শেষে ১৫ জুলাই রায় প্রদান করেন জাস্টিস নিকোল এতে চ্যানেল এস টেলিভিশনকে মামলার খরচ সহ ৭৩ হাজার পাউন্ড ২১ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য নির্দেশ দেন।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, মহামান্য হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী ২১ দিন হচ্ছে অর্থ্যাৎ ৪ আগস্ট ২০১৪ তারিখে ৭৩ হাজার পাউন্ড পরিশোধ করার শেষ দিন ছিল। অথচ চ্যানেল এস কর্তৃপক্ষ আজ পর্যন্ত আমি কিংবা আমার সলিটিরের সাথে যোগাযোগ করেনি।
তিনি বলেন, চ্যানেল এস টেলিভিশন রিপোর্টে যে সকল ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ প্রচার করা হয়েছে তা হচ্ছে, ১। বারাকাহ মানি ট্রান্সফার কাস্টমারদের সাথে অর্থ প্রেরণের নামে প্রতারণা করেছে। ২। প্রতিষ্ঠানের দুই জন কর্মচারী পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বলে মিথ্যা প্রচারানা। ৩। তারা বলেছে আমাকে পাওয়া যাচ্ছে না অথচ তারা কোন প্রকার যোগাযোগই করে নাই। ৪। রিপোর্টে সাজানো কাস্টমার দিয়ে বক্তব্য দেয়া হয়েছে। উপরে উল্লেখিত অভিযোগ গুলির সবই ভিত্তহীন ও সাজানো। যা আদালতে প্রমাণিত হয়।
তিনি আরো বলেন, বারাকাহ মানি ট্রান্সফারের গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং কমিউনিটির সকলকে বলতে চাই, বারাকাহ মানি ট্রান্সফার একটি সৎ ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। মিথ্যা বানোয়াট প্রচারনা আমাদের সততাকে একটুও বিচলিত করতে পারেনি। আপনারা আমাদের সাথে থাকুন, আমরা আপনাদের সেবা করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
সাংবাদিক সম্মেলনে এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হাফিস এন্ড হক সলিসিটিরস এর মশিউর মিয়া।
সংবাদ সম্মেলন
5 August, 2014, Tuesday
Venue: Al- Hambra Cafe, 118 Whitechapel Road, London E1 1JE
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা
আসসালামু আলাইকুম, আমি হাফিজ মাওলানা আবদুল কাদির, প্রতিষ্ঠাতা বারাকাহ মানি ট্রান্সফার । আমি এবং বারাকা মানি ট্রান্সফার এর বিরুদ্ধে চ্যানেল এস টেলিভিশন ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ মানহানিকর এবং মিথ্যা রিপোর্ট প্রচার করে। রিপোর্টটি টক অব দ্যা কমিউনিটিতে পরিণত হয়। এই দিন শত শত শুভাকাঙ্খি আমার সাথে যোগাযোগ করেন। আমি এই সংবাদকে মিথ্যা এবং মানহানীকর বলে উল্লেখ করি এবং ২৮ ডিসেম্বর যথা সময়ে সকাল ১০ টায় বারাকাহ অফিস খোলা হবে এবং আমি যথাসময়ে উপস্থিত থাকব, বলে ঘোষণা দেই, যথাসময়ে আমি উপস্থিত হয়ে মিথ্যা রিপোর্ট সর্ম্পকে আমাদের গ্রাহক, শুভাকাঙ্খি ও কমিউনিটি ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করি।
সাংবাদিক বন্ধুগণ
বিগত ৫ ডিসেম্বর ২০১১ চার ডাকাত আমাকে আক্রমন করে নগদ ৩ লাখ দশ হাজার পাউন্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায় এই ডাকাত দলই আবার ১৫ অক্টোবর ২০১২ আরও ৩০ হাজার পাউন্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ৫ ডিসেম্বর ২০১১ থেকে ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত অনেক কষ্ট করে আমি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এমতাবস্থায় আমার ৪ বেড রুম হাউস বিক্রয় করতে বাধ্য হই। আমাদের সম্পর্কে গ্রাহদের কোন অভিযোগ ছিল না যা এখনো নেই। হঠাৎ ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ চ্যানেল এস টেলিভিশন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট রিপোর্ট প্রচার করায় আমি এবং বারাকা মানি ট্রান্সফার মানহানীর সম্মুখীন হই। অত্যন্ত বিব্রতকর পরিস্থিতি ও অনেক অসুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহক সংখ্যাও কমে যায়। আমি চ্যানেল এস এর কাছে লিখিতভাবে উক্ত রিপোর্টের ব্যাখ্যা দাবী করি এবং ক্ষমার নোটিশ প্রচারের জন্য বলি। এতে কোন উত্তর না পেয়ে আমার সলিসিটর এর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাই। তারপরও আমি চ্যানেল এস কর্তৃপক্ষের কোন সাঁড়া পাই নাই, পরবর্তীতে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্মান রক্ষার্থে আমি হাই কোর্টের শরণাপন্ন হই, মহামান্য কোর্ট চ্যানেল এস এর বিরুদ্ধে আমার মামলা গ্রহণ করে। চ্যানেল এস আইনী কার্যক্রম যথাযথভাবে পালন না করায় ২৬ এপ্রিল ২০১৩ Justice Nicol কর্তৃক চ্যাানেল এস টেলিভিশনকে £1916 জরিমানা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। দীর্ঘদিন আমরা মামলা পরিচালনা করি। যুক্তিকর্ত উপস্থাপন শেষে মাননীয় বিচারক ২৪ জানুয়ারী ২০১৪ High Court of Justice Queen’s Bench Division Before Master Eastman চ্যানেল এস টেলিভিশন কে দোষী স্বাব্যস্ত করে রায় প্রদান করেন। গত ২ এবং ৩ জুলাই ২০১৪ সালে পূণাঙ্গ শুনানী শেষে ১৫ জুলাই রায় প্রদান করেন এতে চ্যানেল এস টেলিভিশনকে মামলার খরচ সহ £73000.00 ২১ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য নির্দেশ দেন।
সাংবাদিক বন্ধুগণ,
মহামান্য হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী ২১ দিন হচ্ছে ৪ আগস্ট ২০১৪, £73000.00 পরিশোধ করার শেষ দিন ছিল। অথচ চ্যানেল এস কর্তৃপক্ষ আজ পর্যন্ত আমি কিংবা আমার সলিটিরের সাথে যোগাযোগ করেনি।
প্রিয় সাংবাদিক ভায়েরা,
চ্যানেল এস টেলিভিশন রিপোর্টে যে সকল ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ প্রচার করা হয়েছে তা হচ্ছে, ১। বারাকাহ মানি ট্রান্সফার কাস্টমারদের সাথে অর্থ প্রেরণের নামে প্রতারণা করেছে। ২। প্রতিষ্ঠানের দুই জন কর্মচারী পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বলে মিথ্যা প্রচারানা। ৩। তারা বলেছে আমাকে পাওয়া যাচ্ছে না অথচ তারা কোন প্রকার যোগাযোগই করে নাই। ৪। রিপোর্টে সাজানো কাস্টমার দিয়ে বক্তব্য দেয়া হয়েছে। উপরে উল্লেখিত অভিযোগ গুলির সবই ভিত্তহীন ও সাজানো। যা আদালতে প্রমাণিত হয়।
সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ
এমতাবস্থায় আপনাদের মাধ্যমে আমার গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং কমিউনিটির সকলকে বলতে চাই, বারাকাহ মানি ট্রান্সফার একটি সৎ ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। মিথ্যা বানোয়াট প্রচারনা আমাদের সততাকে একটুও বিচলিত করতে পারেনি। আপনারা আমাদের সাথে থাকুন, আমরা আপনাদের সেবা করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ,
ধৈর্য্য সহকারে আমার কথাগুলো শোনার জন্য ধন্যবাদ, বক্তব্যগুলো তুলে ধরার অনুরোধ রইলো।
হাফিজ মাওলানা আবদুল কাদির
বারাকাহ মানি ট্রান্সফার