বিরতি শেষে আবারো যুদ্ধে ইসরাইল-হামাস
৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই গাজা থেকে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরে ইসরাইল মিসাইল ও কামান দিয়ে গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে।
এদিকে মিশরের রাজধানী কায়রোয় দু পক্ষের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সমঝোতা না হওয়ায় হামাস এ পদক্ষেপ নিয়েছে। গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ৭২ ঘণ্টার যিুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় এবং আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় তা শেষ হয়েছে।
কায়রো আলোচনায় ইসরাইল শর্ত না মানলে আলোচনা থেকে প্রতিনিধিদলকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের এক মুখপাত্র। গতরাতে হামাসের টেলিভিশন আল-আকসাতে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান। এ মুখপাত্র বলেন, ইসরাইল শর্ত না মানলে ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছে কাসসাম ব্রিগেড।
ইসরাইলের সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম খবর দিচ্ছে- যুদ্ধবিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার পরপরই এশকল ও আশকেলোনসহ কয়েকটি শহরে অন্তত দু ডজন রকেট ছুঁড়েছে এবং এর মধ্যে কয়েকটি আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যেম ভূপাতিত করেছে। ইসরাইল দাবি করেছে- বাকিগুলো ফাঁকা জায়গায় আঘাত হানে।
এদিকে, ইহুদিবাদী ইসরাইল বলেছে, হামাস যদি আবার রকেট ছোঁড়া শুরু করে তাহলে গাজা উপত্যকা সাময়িক সময়ের জন্য দখল করে নেয়া হবে। কোনো কোনো সংবাদ জানাচ্ছে যুদ্ধবিরতির সময় ইসরাইল সেনা সরিয়ে নিলেও নতুন করে তারা গাজা উপত্যকার সীমান্তে আবার সেনা জড়ো করতে শুরু করেছে। ইরানের প্রেস টিভি জানিয়েছে- এরইমধ্যে গাজার পূর্বাঞ্চল থেকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
হামাস আগেই বলেছিল- তাদের দাবি না মানলে তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যাবে না। স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাসের তিনটি শর্ত ছিল- গাজার ওপর থেকে গত সাত বছরের অবরোধ পুরোপুরিতুলে নিতে হবে, ইসরাইলি কারাগারে আটক সব ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে এবং গাজার ওপর আগামী ১০ বছরে কোনো হামলা চালানো যাবে না।