কায়রোতে দশ লক্ষাধিক মুরসি সমর্থকের কদরের নামাজ আদায়
আবুল কালাম আজাদ মিসর: মিসরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড, মুহাম্মাদ মুরসিকে অপসারনের পর থেকেই কায়রোর রাবেয়া স্কয়ারসহ মিসরজুড়ে আন্দোলন করে আসছে ইসলামপন্থীরা। পবিত্র লাইলাতুল কদরের বিশেষ রাতেও রাবেয়া স্কয়ারে দশ লক্ষাধিক নারী পুরুষ নামাজ আদায় করে মুরসির সমর্থনে বিক্ষোভ করেছে। এছাড়া কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় স্কয়ার, আলেকজান্দ্রিয়া, সুয়েচ, সুহাগ, দুমিয়াত, পোর্ট সাইদসহ বিভিন্ন জেলাও বিক্ষোভ করেছে ইসলামপন্থীরা। এদিকে তাহাজ্জুদ নামাজ শেষে চতুর্থবারের মত পুলিশ ও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের হামলায় দুমিয়াত জেলায় কমপক্ষ্যে ৫৫ জন মুরসি সমর্থক আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। সেনা অভ্যুথানের ফলে এ যাবত মুরসি সমর্থক নিহত হয়েছেন ৪৮১ জন আহত প্রায় আট হাজারের অধিক, গ্রেপ্তার দেড় হাজার আর চ্যানেল বন্ধ হয়েছে ৯ টি।
মুরসিকে সমর্থন করায় পৃথিবীর বিশিষ্ট জনদের কায়রো বিমান বন্দর থেকে ফিরিয়ে দিচ্ছে সেনা সরকার। সম্প্রতি নোবেল বিজয়ী ইয়ামিনী নারী কারমান ও সুদানের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হাসান তুরাবির ছেলে ইসামকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া ফিলিস্থীনের মিসর হয়ে গাজা উপত্যকা সফর করতে চাইলে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রজব তাইয়্যেব এর্দোগানকে অনুমতি দেয়নি মিসরের সেনা সরকার।
মুরসিকে তার নির্ধারিত মেয়াদ ফিরিয়ে দেয়া, শুরা কাউন্সিল বলবত রাখা সহ চারদফা দাবী আদায়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে ব্রাদারহুড। অন্যদিকে রবিবার রাতে কারাগারে ব্রাদারহুড ভাইস প্রেসিডেন্ট খাইরাত সাতেরের সাথে আরব আমিরাত ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষাৎ করতে চাইলে তিনি নাকচ করে দেন। আগামী ২৫ আগষ্ট ব্রাদারহুড নেতাদের তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হামলার মামলায় আদালতে হাজির করা হবে।ফলে জাতিয় সুপ্রিম কোর্ট ও জাতিয় নিরাপত্তা কার্যালয় ঘেড়াও করে বিক্ষোভ করেছে মুরসি সমর্থকরা। এছাড়া অনেক খ্রিষ্টানরাও মুরসির পক্ষে বিক্ষোভ করছে।
লাগাতার আন্দোলনের ফলে অর্থনইতিক ভাবে মিসরে ভঙ্গুর অবস্থা বিরাজ করছে। তাছাড়া নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী নাগালের বাইরে। গত এক মাসে সবচেয়ে ঋণ গ্রস্থ মিসর। আন্দোলনের ফলে আমেরিকান দুতাবাস কায়রো লাগাতার বন্ধ। গত এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পরে আবারো আগামী ১০ আগষ্ট পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়।