আমেরিকা : ইরাকে সজাগ, গাজায় অন্ধ
মো: বাকীবিল্লাহ: যুক্তরাষ্ট্র আবার প্রমাণ করলো তারা সুনির্দিষ্ট কিছু সহিংসতার ব্যাপারে বেশ সতর্ক। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অনুমোদনের পর ইরাকের সুন্নি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন বিমান।
খ্রিস্টান ও ইয়াজিদিসহ ইরাকের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে দেশটির সুন্নি বিদ্রোহীদের কবল থেকে বাঁচাতে ওবামার এই মিশন।
জাতিসঙ্ঘের তথ্যমতে, সুন্নি বিদ্রোহীদের ভয়ে প্রায় সংখ্যালঘু ইয়াজিদিসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ৪০ হাজার মানুষ শরণার্থী হয়েছে। সিনজার উপত্যকার আশেপাশে আশ্রয় নেয়া এসব মানুষ খাবার ও পানির কোনো সংস্থান ছাড়াই অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। তাছাড়া ইতোমধ্যে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের প্রায় ৫শ’ মানুষ হত্যা করেছে আইএসআইএস। তারা সংখ্যালঘুদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করছে। নতুবা তাদেরকে হত্যা করছে। সুন্নি বিদ্রোহীদের এ বর্বরতার জবাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ। মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে এ উদ্যোগের জন্য তারা বাহবা পেতেই পারে।
অন্যদিকে গাজায় চলছে ইসরাইলি বর্বর হামলা। এতে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী হয়েছেন। প্রায় ১৯শ’ মানুষ মারা গেছেন। যার মধ্যে অন্তত ৫শ’ শিশু। ইসরাইলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনিদের ঘর-বাড়ি, মসজিদ, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা চুরমার হয়ে গেছে।
হামলা হয়েছে জাতিসঙ্ঘের স্কুলেও। যুক্তরাষ্ট্র শুধু হামলার নিন্দা করেছে। কেন এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারছে না তারা?
ইসরাইলের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের এ দুর্বলতা বিশ্ব-রাজনীতিতে একটি গোলকধাঁধা। অনেকে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নির্বাচনে ইসরাইলি লবির শক্তিশালী ভূমিকার কারণেই মার্কিন শাসকদের এ দুর্বলতা।
ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভূমিকায় আবারো প্রশ্ন উঠেছে, অতীতে খলনায়কের ভূমিকার অসংখ্য রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও ওয়াশিংটন কোন মুখ নিয়ে মানবিক বিপর্যয় রোধে নেতৃত্ব দিতে আসে?
হিন্দুস্থান টাইমস অবলম্বনে