ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম ইউরোপীয়ান ডাক্তারের মৃত্যু
মরণঘাতী ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে এক স্প্যানিশ চিকিৎসক মারা গেছেন। তিনিই প্রথম কোনো ইউরোপিয়ান যিনি এ ভাইরাসে প্রাণ হারালেন। স্প্যানিশ চিকিৎসক মিগেল পাহারেস (৭৫) ইবোলা আক্রান্ত দেশ লাইবেরিয়ায় ক্যাথলিক মিশনের হয়ে কাজ করার সময় মরণঘাতী এ রোগে আক্রান্ত হন বলে জানিয়েছে স্পেনের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিকিৎসক মিগেল পাহারেস গত বৃহস্পতিবার লাইবেরিয়ার মিশন থেকে অসুস্থ অবস্থায় স্পেনে আসেন। তখন প্রচন্ড জ্বরে তিনি ছিলেন কাহিল।
তাকে মাদ্রিদের কার্লোস হাসপাতালে আলাদাভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। কয়েকদিন তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা স্বাভাবিকও ছিলো। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে মিগেল পাহারেস মারা যান।
পাহারেসের মৃত্যু সংবাদ এমন একটি সময়ে আসলো যেদিন লাইব্রেরিয়ার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এ ভাইরাসের একটি পরীক্ষামূলক ওষুধ হাতে পেতে যাচ্ছেন বলে ঘোষাণা দিয়েছেন।
এই ওষুধটি প্রথম যে দুজন চিকিৎসকের ওপর প্রয়োগ করা হচ্ছিলো তাদের একজন পাহারেস, অন্যজন মার্কিন।
চিকিৎসক বা ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি ওষুধটির ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কোনো ধরনের আশ্বাস না দিলেও পাহারেসের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞমহল।
এদিকে মঙ্গলবার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, মরণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) । এছাড়াও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৮৪৮ জন।
ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্তদের ২৫ থেকেই ৯০ ভাগই মারা যায়। যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়া, গিনি ও সিয়েরা লিওনের নাগরিক।
ইতোমধ্যে এ নিয়ে সারা বিশ্বেই সতকর্তা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশও এ ভাইরাস প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে।