দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলো ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ
মাস্কট থেকে ঢাকা আসার পথে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশের ইউনাটেড এয়ারওয়েজের একটি যাত্রীবাহী বিমান। বিমানটিতে সবমিলিয়ে ১৪৮ জন যাত্রী ছিল। ওই বিমানের এক পাইলটের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভেতে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এনডিটিভি জানায়, সোমবার রাত বাংলাদেশি বিমানটি কোলকাতার আকাশসীমা অতিক্রমের সময় মাঝআকাশে এক সৌদি বিমানের সঙ্গে এটির সংঘর্ষের উপক্রম হয়। যদিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কোলকাতার ট্রাফিক এয়ার কন্ট্রোলের কর্মকর্তারা। তবে ভারতের জাতীয় বিমান কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার তদন্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পাইলট ক্যাপ্টেন আফিউল ইসলাম এনডিটিভিকে বলেন, কোলকাতার আকাশসীমা অতিক্রম করার সময় তিনি স্পষ্ট দেখতে পান আর একটি বিমান তার দিকে এগিয়ে আসছে। তিনি তখন ঢাকা থেকে ২৭০ মাইল দূরে ৩৩ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ছেন। এ সময় কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল তাকে ২৯ হাজার ফুট উচ্চতায় নেমে আসতে বলে। কিন্তু তা করতে গেলে বিমানের ‘ট্রাফিক কলিশন অ্যাভয়ডেন্স সিসটেম’ তাকে জানায়, ৩২ হাজার ফুট উচ্চতায় আরেকটি বিমান এগিয়ে আসছে।
ক্যাপ্টেন আফিউল বলেন, আকাশে মেঘ ছিল না। তাই তিনি স্পষ্টই দেখতে পান, আরেকটি বিমান তার দিকেই এগিয়ে আসছে। তার অনুমান, সেটি সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি মালবাহী বিমান ছিল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানান এবং নিজের বিমানটিকে পুনরায় ৩৩ হাজার ফুট উচ্চতায় তুলে নেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের নিশ্চই কোনো ভুল হয়েছিল। কন্ট্রোল রুমের সাথে আমার সব কথাবার্তার রেকর্ড আছে। চাইলে তারা সেটা পরীক্ষা করতে পারে।’
সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমানটি সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি কার্গো ফ্লাইট ৯৮৩ হতে পারে এবং বিমানটি হংকং থেকে জেদ্দা যাচ্ছিল।
উল্লেখ্য, আকাশপথে ওপরে ও নিচ দিয়ে চলা দুটি বিমানের মধ্যে অন্তত এক হাজার ফুট ব্যবধান রাখার নিয়ম রয়েছে।