তামাক সেবনে বছরে ৫৭ হাজার মানুষের মৃত্যু
বাংলাদেশে তামাক সেবনের ফলে বছরে ৫৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, পঙ্গু হচ্ছে ৮২ হাজার। বিশ্বে মারা যাচ্ছে ৪০ লাখ। প্রতি ১০ সেকেন্ডে তামাক সেবন জনিত কারণে কেউ না কেউ মারা যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০২০ সালের মধ্যে তামাকই হবে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।
মঙ্গলবার মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ইউনাইটেড ফোরাম এগেইনস্ট টোব্যাকোর (ইউএফএটি) আয়োজনে ‘বাংলাদেশে তামাকের নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা উপরিউক্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
ইউএফএটি’র চেয়ারম্যান জাতীয় অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম এ মালিকের সভাপতিত্বে আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. নভরতœস্বামী পারেনিথারানা, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ‘তামাক মুক্ত শিশু’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক ভান্দানা শাহ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইউএফএটি’র মহাসচিব ড. মো: সিরাজুল ইসলাম।
ড. মশিউর রহমান বলেন, তামাকের ব্যবহার বন্ধে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর অফিস ও সচিবালয়কে ইতোমধ্যে ধূমপানমুক্ত এলাকা ঘোষনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ধূমপান করাকে অনেকে হিরোইজমের অংশ মনে করেন। সে কারণে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমানো যাচ্ছে না।
ভান্দানা শাহ বলেন, তামাকের ব্যবহার কমানোর জন্য তার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশসহ ভারত ও পাকিস্তানে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশেও ব্যাপক তৎপর এ ব্যাপারে।
ব্রিগেডিয়ার আব্দুল মালিক বলেন, তামাকের ব্যবহার বন্ধে প্রণোদনা দেয়া জরুরী। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্য ও ধর্মীয় নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। তামাক সেবনে মানুষের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়, সময় ও অর্থের অপচয় হয়। বছরে তামাক শিল্প থেকে যে টাকা আসে তামাক জনিত কারণে নানা রোগের চিকিৎসায় এর চেয়ে বেশি টাকা ব্যয় হয়।
বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার হ্রাসে ইউএফএটি তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং বিধিমালার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত আহবান জানান। এছাড়া তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করা, সরকারী ও্র বেসরকারী কমক্ষেত্র ধূমপান মুক্ত এলাকা ঘোষনা করা এবং তামাকজাত পণ্যে বেশি করে করার্রপ করার ওপর গুরুত্বারূপ করা হয়েছে।