গাজার পক্ষে কথা বলায় কুয়েতের ধর্মীয় নেতার নাগরিকত্ব বাতিল
কুয়েত সরকার একজন প্রখ্যাত ধর্মীয় নেতাসহ নয় ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। নিরাপত্তা জনিত কারনে কুয়েতের মন্ত্রীসভায় তাদের নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কুয়েতের আল রেসালাহ সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট মনিটর জানায় গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার প্রতিবাদে প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশের কারনে মন্ত্রীসভা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী খালেদ আল হামাদ আল সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার এই বৈঠকে প্রখ্যাত ধর্মীয় নেতা ড. নাবিল আল আওয়াদির নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কুয়েতের নাগরিকত্ব বাতিল সংক্রান্ত আইনের ১৩ ধারা অনুযায়ী তার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়।
আল আওয়াদিকে আরব বিশ্বের প্রধান রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থক মনে করা হয়। এই সিদ্ধান্তের পর এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন আমি আমার দেশ কুয়েতের প্রতি পূর্ন আনুগত্য পোষন করি। একই সাথে কুয়েতের রাজ পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমার বিশ্বস্ততা রয়েছে। আমি কুয়েতের জনগন এবং আমার পরিবারকে ভালোবাসি..। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি কুয়েত এবং দেশটির জনগনকে যেনো তিনি রক্ষা করেন।
বেশ কিছুদিন থেকে উপসাগরীয় দেশটি যেসব ধর্মীয় নেতা রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করছে বিশেষ করে ফিলিস্তিন ও মিশর ইস্যুতে বক্তব্য রাখছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
এর আগে ২২ জুলাই কুয়েতের মন্ত্রীসভা আল ইয়ুম স্যাটেলাইট চ্যানেল এবং আল আলম আল ইয়ুম পত্রিকার মালিক আহমেদ জাবের কাদিম আল সামারীর নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। জনস্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়। এছাড়া বিরোধী দলের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল বারগাসের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ এনে নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়।
কুয়েত সরকারের এসব সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে সংস্কার চান এমন ব্যক্তিদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। এসব কারনে কোনো নাগরিকের নাগরিকত্ব হরন করার অধিকার সরকারের নেই।