ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক হালাল সার্চ ইঞ্জিনের আত্মপ্রকাশ

halalইসলামি শরিয়াহ পরিপন্থী তথ্য বয়কট করে চালু হলো নতুন একটি সার্চ ইঞ্জিন। জায়ান্ট গুগল’র সঙ্গে মিল রেখে এর নাম রাখা হয়েছে হালালগুগলিং। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ইসলামিক ইন্টারনেট স্কলারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা হয়েছে এই ওয়েবসাইটটি।
সার্চ ইঞ্জিনটি পরিচালনা করা হচ্ছে পাকিস্তান থেকে। গত ৭ জুলাই থেকে সাইটটির বেটা সংস্করণ চালু করা হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করা হয়েছে।
হালাল গুগলিং ব্লগ’র পক্ষ থেকে পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, শীর্ষ দুই সার্চ ইঞ্জিন গুগল ও মাইক্রোসফটের বিংয়ের সেবার সমন্বয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে। ফলে এ সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী দুটি সার্চ ইঞ্জিনের প্রায় সব সেবাই নিতে পারবেন। তবে ইসলামি শরিয়াহ নিষিদ্ধ কোনো তথ্য দেখাবে না হালালগুগলিং।
ব্লগটির দাফতরিক পোস্টে বলা হয়েছে, বিশ্বে অন্তত ৮৯ শতাংশ তরুণ চ্যাটরুমে সেক্সুয়াল শব্দ, ছবি বা ভিডিও দ্বারা বিভ্রান্ত হয়। ৭৩ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজতে গিয়ে ইসলামি শরিয়তে নিষিদ্ধ তথ্য-উপাত্তের মুখোমুখি হন। আর ৩২ শতাংশই ইন্টারনেটে সার্চ করে অশ্লীল ভিডিও দেখেন। এমন অবস্থা থেকে বিশ্বে কোটি মুসলিম ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে স্বস্তি দিতে ও নিরাপদ রাখতে হালাল গুগলিং সার্চ ইঞ্জিনে ফিল্টারিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ইঞ্জিনটিতে বিশেষ ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছে। এ ফিল্টারই ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম বিভিন্ন তথ্য দেখানো থেকে বিরত রাখছে। অশ্লীল কিংবা ইসলামি শরিয়ত বহির্ভূত শব্দ বা ভিডিও সার্চ করলে সেখানে ‘কোনো তথ্য নেই’ বার্তা প্রদর্শন করা হয়।
আপাতত মোট ২৭টি দেশের ওয়েব লিংক এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাকিস্তান ও ভারতের ওয়েব অন্তর্ভুক্ত করা হলেও এখনো এই সার্চ ইঞ্জিনে বাংলাদেশের কোনো ওয়েব তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
সার্চ ইঞ্জিনটি সম্পর্কে পাকিস্তানের অন্যতম শীর্ষ দৈনিক এক্সপেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এ সার্চ ইঞ্জিনে ব্যবহৃত ফিল্টারটি অনুসন্ধান ফলাফলের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন হারাম বস্তুকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এসব বস্তুর মধ্যে রয়েছে যৌনতা ও জুয়াসহ ইসলামে নিষিদ্ধ সব ধরনের বিষয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button