আস্থা সংকটে অর্থনীতি : বিপাকে বাংলাদেশ
মীর আব্দুল আলীম: এখনো আস্থার সঙ্কট কাটেনি। বিদেশি বিনিয়োগ কমছে, কমছে বিদেশি সাহায্য। দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে দিন দিন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতবছরের শেষার্ধে রাজনৈতিক সহিংসতায় বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়ে। এর পর থেকে বড় কোনো বিদেশী বিনিয়োগ দেশে আসেনি, অন্য দিকে দেশী বিনিয়োগেরও খুব বেশি দেখা মিলছে না। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক সূচক থাকলেও ব্যাংকের ঋণ বিতরণ কমেছে। ব্যাংকে অলস টাকা পড়ে থাকলেও বিনিয়েগ নেই। উদ্যোক্তাদের অভিমত, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কালো মেঘ এখনও কাটেনি। সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হওয়ায় যে কোন মুহূর্তে আবার রাজনীতি অস্থির হয়ে উঠতে পারে। তাই নতুন বিনিয়োগ করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় সম্ভাবনার দুয়ার থেকে ক্রমেই যেন দূরে সরে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। বাইরের উদ্যোক্তারা এ দেশে আসতে চাইছেন না। বিদেশী বিনিয়োগে নানা সুবিধা থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক অস্থিরতার ঝুঁকি বর্তমানে বড় বাধা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এতে কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে না বাংলাদেশ। সম্ভাবনার কক্ষপথ থেকে দেশ দিনদিনই পিছিয়ে পড়ছে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায়। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ ছিল উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য মডেল। কিন্তু রাজনৈতিক সহিংসতা বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোট ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বিরোধ সাত শতাংশ জিডিপি অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করবে। ফলে গত ১৩ বছরে চরম দারিদ্র্য থেকে বের করে আনা এক কোটি ১৬ লাখ জনগণকে পুরোপুরি দারিদ্র্যমুক্ত করা কঠিন হয়ে পড়বে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এমনকি প্রতিবেশী মিয়ানমারের তুলনায়ও বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশী বিনিয়োগ কম হয়েছে।
চলতি ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সময়ে নিবন্ধিত মোট যৌথ ও শতভাগ বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ২১ কোটি ৫০ লাখ ১২ হাজার মার্কিন ডলার। অথচ গতবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৪৫ কোটি ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার ডলার। এ হিসাবে নিবন্ধিত বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। যদিও স্থানীয় ও বিদেশী যে কোনো বিনিয়োগ পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তনে প্রয়োজন অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ অবকাঠামো উন্নয়ন। চলতি বছরের শুরু থেকেই গতবছরের একই সময়ের তুলনায় বিনিয়োগের পরিমাণ কমতে শুরু করে। গতবছর জানুয়ারিতে নিবন্ধিত বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৪ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার ডলার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা কমে ১০ কোটি ৪৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারে নেমে আসে। আর এ ধারা অব্যাহত ছিল গত জুন মাস পর্যন্ত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিবন্ধিত বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৯৪ লাখ ৬৮ হাজার ডলার, যা গতবছরের একই সময়ে ছিল ৩ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ডলার। চলতি বছরের মার্চ, এপ্রিল মে ও জুনে নিবন্ধিত বিনিয়োগের পরিমাণ যথাক্রমে ২ কোটি ৫৬ লাখ ১৩ হাজার, ৩ কোটি ৩ লাখ ৯৮ হাজার, ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৯ হাজার এবং ১ কোটি ৯০ লাখ ৪৪ হাজার ডলার। আর এর বিপরীতে গতবছরের মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুনে নিবন্ধিত বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৪ কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার, ৩ কোটি ৮৭ লাখ ৯৫ হাজার, ১১ কোটি ৪৩ লাখ ৬০ হাজার ও ৮ কোটি ১০ লাখ ৩ হাজার ডলার।
কয়েক বছর ধরেই বিশ্ব জুড়ে বাংলাদেশকে নিয়ে নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে। উদ্বেগজনক এ অবস্থায় বিনিয়োগ চলে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে। এটা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথকে রুদ্ধ করে দিচ্ছে। বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৩ সালে মিয়ানমারে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। এর আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। অথচ একই সময়ে বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে কঙ্গোয় বিনিয়োগ হয়েছে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া ঘানা, লাইবেরিয়া, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, তানজানিয়া ও উগান্ডায় বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩, ১ দশমিক ৪, ৫ দশমিক ২, ১ দশমিক ৭ ও ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়ার দু’একটি দেশে বিনিয়োগ কমলেও ঐসব দেশে গত কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক ধারণা করছে, চলতি বছর মন্দা কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে না বাংলাদেশ। সংস্থাটির আশা, এ বছর প্রবৃদ্ধি ৫.৭ শতাংশের বেশি হবে না। সংস্থাটি জানায়, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিতিশীলতার কারণে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে ৫.৭ শতাংশ হবে বলে ধরা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা ও বিশৃঙ্খলার কারণে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি কমেছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় ১২.৬ শতাংশ বাড়লেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে তা কমে ৮.৪ শতাংশ হয়েছে। জনশক্তি রফতানি কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ব ব্যাংক। এমন সংবাদ আমাদের জন্য মোটেও সুখকর নয়।
দেশে বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনীতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করলেও নতুন বিনিয়োগ করার মতো সাহস পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। সামনে আন্দোলনের ভয় তাদের পেয়ে বসেছে। তাই ব্যবসা সম্প্রসারণে তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তারা আরও সময় নিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিনিয়োগে আসতে চান। জিএসপি সুবিধা নাকচে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। এক মাসে দেশী কমলে পরের মাসে কমছে বিদেশী বিনিয়োগ। সব মাসেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে কমার চিত্র। তবে গেল মাসে শুধুই কমেছে বিদেশী বিনিয়োগ। ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক সব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সময় সময় উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। সর্বশেষ সরকারি প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকও তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। বিনিয়োগ না থাকায় ব্যাংকগুলোতে অলস অর্থের পরিমাণ এক লাখ কোটি ছাড়িয়েছে। মূলত রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাংকিং ক্ষাত। ঋণঝুঁকিসহ ব্যবস্থাপনায় বিশেষ করে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলোর গাফিলতির কারণে এ ঝুঁকির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক এবং ব্যাংকিং খাতের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ অবস্থা চলমান থাকলে আমানতকারীদের মধ্যে ব্যাংক সম্পর্কে অবিশ্বাস জন্ম নিতে পারে, যা প্রকারান্তরে ব্যাংকিং খাতকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারে।
৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর নতুন বাণিজ্যমন্ত্রী জিএসপি সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। তাতে বিনিয়োগ কিছুটা ইতিবাচকও হয়েছিল কিন্তু সম্প্রতি দ্বিতীয় বারের মতো জিএসপি পাওয়ার সম্ভাবনা যখন বাতিল হয়ে যায়, ঠিক তখনই বিনিয়োগ তলানিতে নামতে শুরু করে। এছাড়া রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কোন কিনারা হয়নি বলেও তিনি মনে করেন। বিনিয়োগ বোর্ডের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন মাসে ২১ হাজার ৬৮৭ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। যা আগের মাসে ছিল ২৫ হাজার ৫০৬ জন। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগে কর্মসংস্থান কমেছে তিন হাজার ৮১৯ জনের। একই সঙ্গে শিল্প নিবন্ধনের সংখ্যাও কমেছে। এ সময় শিল্প নিবন্ধন হয়েছে ১৩৩টি। যা আগের মাসে ছিল ১৫৪। কমেছে ২১টি। এছাড়া বিনিয়োগ কিছুটা বেড়েছে। মোট বিনিয়োগ হয়েছে ৬ হাজার ৪৫ কোটি টাকা। যা মে মাসে ছিল ৩ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা। বিওআই প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন মাসে দেশী শিল্পে ২০ হাজার ২৮৬ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। যা আগের মাসে ছিল ২৪ হাজার ৬৯৩ জন। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে দেশী শিল্পে কর্মসংস্থান কমেছে চার হাজার ৪০৭ জনের। একই সঙ্গে শিল্প নিবন্ধনের সংখ্যাও কমেছে। এ সময় শিল্প নিবন্ধন হয়েছে ১২৪টি। যা আগের মাসে ছিল ১৪৭। কমেছে ২৩টি।
অর্থনীতির প্রতিটি খাতই আজ বিপদে আছে। রফতানি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, কমছে আমদানিও। বিনিয়োগ নেই, বাড়ছে খেলাপি ঋণ। সংকটে পড়েছে শিল্প। চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে জীবন জীবিকা নিয়ে শঙ্কিত মানুষ। রাজনৈতিক যাঁতাকলে দেশের মানুষ পিষ্ঠ হচ্ছে। বেঁচে থাকার ভয়; টিকে থাকার ভয় আর অর্থনৈতিক শংকা দেশের আমজনতাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। অথচ, অর্থনীতির ভঙ্গুর অবস্থা এবং বিদেশী বিনিয়োগ যে কমে গেছে তা মানতে রাজি নন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে বৈদেশিক বিনিয়োগ অনেক কমে গেছে। বিদেশী উদ্যোক্তা যারা এসেছিলেন তারা সাবধান হয়ে গেছেন। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, এ অবস্থা বেশি দিন থাকবে না। অচিরেই দেশে বিনিয়োগ ফিরে আসতে থাকবে। এ কথা সত্য যে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিদেশী বিনিয়োগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। চলে যাচ্ছে অন্য দেশগুলোতে। ভয়াবহ দিক হচ্ছে, বিদেশী বিনিয়োগই কেবল হাত ছাড়া হচ্ছে তা নয়। দেশীয় বিনিয়োগকারীরাও দেশে বিনিয়োগে ভরসা পাচ্ছেন না। তাই তারা নিজের দেশের তুলনায় অন্য দেশে বিনিয়োগে এগিয়ে যাচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ মিয়ানমারের কথাই তুলে ধরা যেতে পারে। আইনি কিছু বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও বিশেষ অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সেখানে বিনিয়োগ করছেন। এর বাইরে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে এমন বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও ব্যবসা সম্প্রসারণ না করে অন্য দেশে চলে যাচ্ছেন। বেশ কয়েকটি গ্রুপ ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় বিনিয়োগ করেছেন, যাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ। প্রশ্ন হলো, এ অবস্থায় কী করবে দেশীয় বিনিয়োগকারীরা?
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আামদের প্রত্যাশা, দেশের অর্থনীতি পঙ্গু হয়, মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়-এমন কোন কর্মসূচি দেবেন না। দেশের স্বার্থে আপনার অহিংস রাজনীতির পথ গ্রহণ করুন। রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশের কোন সম্পদ ধ্বংস করা যাবে না। কোন কিছু জোর করে চাপিয়ে দিয়ে দেশ অস্থির করা যাবে না। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ বিপন্ন হয় এমন কর্মসূচি দেয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে দলগুলোকে। বিরোধী মতের রাজনৈতিক দলগুলো যাতে আন্দোলনে না নামে সে লক্ষ্যে অতি দ্রুত আলোচনায় বসতে হবে। এর জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তাছাড়া সরকারের গ্রহণযোগ্যতাও সকল ক্ষেত্রে প্রমাণ করতে হবে। দেশ-বিদেশে সরকারে গ্রহণযোগ্যতা বাড়লে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে। দেশর অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট