টাওয়ার হ্যামলেটসে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার
দিনে অন্তত একজন ড্রাগ ডিলারকে পাকড়াও করার লক্ষ্যে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের চলমান ‘ডিলার এ ডে’ অভিযানের অংশ হিসেবে সম্প্রতি স্টেপনী ও আইল অব ডগস থেকে বিপুল সংখ্যক হেরোইন, হোকেন ও গাজা উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো বাজার মূল্য প্রায় ৬ হাজার পাউন্ড।
নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, আমি এটা ভালোভাবেই জানি যে, বাসিন্দারা চান কাউন্সিল এবং পুলিশ যেন ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালিয়ে সমাজ থেকে মাদক কেনা বেচা সমূলে উৎখাত করে। জনগণের এই চাওয়াকে বাস্তবায়িত করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্চি। সর্বসাম্প্রতিক অভিযান ও নিয়মিত টহল দান আমাদের প্রচেষ্ঠারই অংশ।
একই প্রসঙ্গে কমিউনিটি সেফটি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর অহিদ আহমদ বলেন, ড্রাগ ডিলারদের চিহ্নিত করতে বাসিন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা লক্ষ্য নির্ধারণ করে সুনির্দিষ্ট অভিযান চালাতে সক্ষম হয়। যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপ নজরে পড়লে, তা আমাদের জানানোর মাধ্যমে নিজেদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করার জন্য আমি জনসাধারণের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
পার্টনারশীপ টাস্ক ফোর্স (পিটিএফ) এর পুলিশ অফিসাররা গত ২৮ জুলাই স্টেপনীর ট্রাফালগার গার্ডেনে টহল দেয়ার সময় একজন বাসিন্দা তাদের কাছে আসেন এবং স্থানীয় চিলড্রেন্স পার্কটিতে কতিপয় তরুণের সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরায় তার উদ্বেগ জানান। পুলিশ পার্কে গিয়ে ওদেরকে সরিয়ে দেয় এবং তল্লাশি অভিযান চালায়। এসময় তারা ঝোপের ভেতর লুকিয়ে রাখা অনেকগুলো অস্ত্র সদৃশ্য বস্তু এবং হেরোইন ও কোকেন এর ২৮টি পুরিয়া উদ্ধার করে।
১ আগষ্ট পিটিএফ অফিসাররা ‘আইল অব ডগস’ এর ডার্টমুর ওয়াকে একটি ড্রাগ ওয়ারেন্ট তামিল করেন। এই ড্রাগ ওয়ারেন্ট অনুযায়ি তারা প্রোপার্টিতে ঢুকে তল্লাশি চালিয় প্রায় ৬ হাজার পাউন্ড মূল্যের ক্লাস এ ড্রাগ সহ বিপুল পরিমান ক্লাস বি ড্রাগ ও ক্যানাবিস উদ্ধার করেন। এসময় একটি বিপজ্জক কুকুরও তারা আটক করে। মাদক অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় বেথনাল গ্রীণ পুলিশ স্টেশনে।
বাসিন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাদকের কেনা বেচা হয় এমন সব এলাকায় এই মাসে টাওয়ার হ্যামলেটস’ এনফোর্সমেন্ট অফিসাররা (থিও) স্নিফার ডগ নিয়ে টহল দেন। এসময় তারা পপলার হাই স্ট্রিটের ক্রুজ হাউজ এবং সিডনী স্ট্রিটের কেরি হাউজ এলাকা থেকে ক্যানাবিসের পুরিয়া জব্দ করেন।
‘ডিলার এ ডে’ কর্মসূচির আওতায় কাউন্সি ও পুলিশ বছরে কমপক্ষে ৩৬৫ জন ড্রাগ ডিলারকে পাকড়াও করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্চে। যে কোন ধরনের ড্রাগ ডিলিং অর্থাৎ মাদক কেনা বেচা কিংবা মাদকের ব্যবহারের ঘটনা নজরে পড়লে ১০১ নাম্বারে কল করে জানানোর জন্য জনসাধারণের প্রতি আহব্বান জানানো হয়েছে।