পানামা খালের একশ বছর
১৫ আগস্ট শুক্রবার। বিশ্ব বিখ্যাত পানামা খালের শতবার্ষিকী। ১৯১৪ সালের এই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হয় প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের সংযোগকারী পানামা খাল। বিংশ শতাব্দীর প্রকৌশলবিদ্যার নান্দনিকতা নির্মিত এই কৃত্রিম জলপথ। প্রায় ৪০০ বছরের উদ্যোগ, প্রচেষ্টা ও কার্যক্রম ব্যর্থ হওয়ার পর ১০ বছরের একটানা খননে নির্মিত হয় আন্তঃমহাদেশীয় জলপথ। তৎকালীন সময়ে কঠিন ও দীর্ঘতম প্রকৌশলী প্রজেক্ট ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই খাল পানামার ইসথমাস অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকাকে বিভক্ত করেছে। সামুদ্রিক বাণিজ্যের জন্য ব্যবহৃত আন্তর্জাতিক এই জলপথ দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণভাগ ঘুরে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে যে ১২,৮৭৫ কিমি. পথ অতিক্রম করতে হতো তা কমিয়ে দিয়েছে।ষোড়শ শতাব্দীর শুরুর দিকে (১৫১৫ সালে) ভাস্কো নুনেজ দ্য বালবোয়ার পানামা অতিক্রম করেন। তখন থেকে খাল খননের জল্পনা শুরু হয়। ১৫২৪ সালে রোমান সম্রাট চার্লস ডি প্রথম প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগর সংযোগে আমেরিকার মধ্য দিয়ে খাল খননের প্রস্তাব করেন। ১৫২৯ থেকে ১৮৭৫ সাল পর্যন্ত অনেকগুলো প্লান ও সার্ভে হওয়ার পর ১৯৮০ সালে ফ্রান্স প্রথম খাল খননের কাজ শুরু করে। ১৯০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে নতুন করে খাল খনন শুরু হয়ে ১৯১৪ সালে খনন কাজ শেষ।
এক নজরে খাল খনন
* ১৮৮১-১৮৮৮, ১৮৯৪-১৮৯৮ : ফ্রান্সের নেতৃত্বে খনন
* ১৯০১-১৯১৪ : যুক্তরাষ্ট্র খনন শুরু করে এবং পূর্ণ খাল নির্মিত হয়
* ১৯৭৭ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও পানামা প্রেসিডেন্ট ওমার টরিজোসের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর। খালের মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার।
* ১৩ ডিসেম্বর ১৯৯৯ : পানামা খালের মালিকানা গ্রহণ করে
* ২০১৬ জানুয়ারি : খালের তিনগুণ প্রসারতা প্রজেক্ট শেষ হবে।
* ৮০ কিমি. (৫০ মাইল) দৈর্ঘ্য
* ২৬ ঘণ্টা সময় লাগে অতিক্রম করতে (অপেক্ষা সময়সহ)
* ১৪,০০০ জাহাজ চলাচল করে
* ২৮ কোটি টন পণ্য আনা-নেয়া হয়
* ১ লাখ ৫০ হাজার শ্রমিক কাজ করেছে
* ২৭ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু