যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি হত্যায় কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের ৫৫ বছরের জেল
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের হার্টফোর্টে বহুল আলোচিত বাংলাদেশি লুত্ফর রহমান তরফদার বেলাল হত্যা মামলায় কেজলিন মেন্ডেজ নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে ৫৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে কানেকটিকাটের হার্টফোর্ড সুপরিয়র কোর্টের বিচারক এডওয়ার্ড জে. মুলারকি এ দণ্ডাদেশ দেন। ২০১২ সালের ২৫ আগস্ট হার্টফোর্টে ওই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি গ্রোসারিতে ঢুকে লুটপাট চালায় এবং সেখানে কর্মরত বেলালকে গুলি করে হত্যা করে।
হার্টফোর্ড পুলিশ সার্ভিলেন্স ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি দেখে খুনীকে সনাক্ত এবং দুদিন পরে গ্রেফতার করে। ঘটনার ৭১৮ দিন পর চাঞ্চল্যকর মঙ্গলবার এই হত্যা মামলার রায় প্রদান করা হয়। আদালত রায়ে কেজলিন মেন্ডেজকে খুনী সাব্যস্ত করে ৫৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
রায় প্রদানের সময় নিহত লুত্ফর তরফদার বেলালের স্ত্রী শামীমা তরফদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ওই খুনি শুধু আমার স্বামীকেই খুন করেনি, একই সঙ্গে সে পুরো পরিবারকেই খুন করেছে। এর আগে বেলাল তরফদারের ছোট মেয়ে নাজমুন তরফদার আদালতে বলেন, আমার বাবা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। কখনই তিনি আমাদের দুঃখ দেননি। সবসময় বাবা আমাদের খুশি রাখতেন আর খুব আদর করতেন। আমরা আজ বাবার স্নেহ-ভালবাসা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত।
লুত্ফর তরফদার বেলালের স্ত্রী শামীমা তরফদার বর্তমানে তিন কন্যাসহ কানেকটিকাটের ম্যানচেস্টার শহরে বসবাস করছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মৌলিভীবাজার জেলায়। কানেকটিকাটে বসবাসের আগে বেলাল তরফদার দীর্ঘদিন নিউইয়র্কে ছিলেন। সেখানে অবস্থানকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।