কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সির আত্মহত্যার চেষ্টা
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার পর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। আইসিইউর প্রধান ডা: ফজলুল হক পাঠান জানান, ন্যান্সির অবস্থা অবনতিশীল। তাকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
পারিবারিক কলহের জেরে ন্যান্সি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার আত্মহননের চেষ্টা নিয়ে এলাকায় নানা রকম গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। সঠিক সংবাদ জানতে অনেকে তার বাড়িতে যান। আবার অনেকে এ সংবাদ নিশ্চিত হতে স্থানীয় সাংবাদিকদের ফোন করেন।
পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনার ছোট গাড়া এলাকায় পিত্রালয়ে অবস্থানকালে সঙ্গীত শিল্পী ন্যান্সি গতকাল দুপুরের খাবার খাওয়ার পর প্রথমে ৪০টি সিডিল নামক ঘুমের বড়ি খান। কিছুণ পর আরো ২০টি একই বড়ি খান। এরপর অসুস্থ হয়ে বিছানায় ঢলে পড়েন। অবস্থার অবনতি ঘটলে তার ছোট ভাই সানি ও প্রতিবেশীরা সন্ধ্যায় তাকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাত সাড়ে ৮টায় ন্যান্সিকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পৌঁছে। সেখানের চিকিৎসক ডা: জাকির হোসেন তাকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
ন্যান্সির আত্মহত্যার চেষ্টার সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নেত্রকোনা হাসপাতালে ন্যান্সির ভক্ত ও অনুরাগীরা ভিড় জমান। হাসপাতালে সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে তার পরিবারের লোকজন বাধা দেন। এ সময় তার ছোট ভাই সানি ও স্বামী জাহেদসহ প্রতিবেশীরা সেখানে ছিলেন। তারা সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলেননি। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ন্যান্সিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: নিলুৎপল সরকার বলেন, ন্যান্সির প্রাথমিক চিকিৎসার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নেত্রকোনা সদর থানার ওসি মু: মাসুদুল আলম জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সঙ্গীত শিল্পী নাজমুন মনিরা ন্যান্সিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পারিবারিক কলহের জেরে নাকি অন্য কোনো কারণে ন্যান্সি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন তা স্পষ্ট নয়। হতাশার কারণে নাকি অভিমান করে ঘুমের বড়ি খেয়েছেন তাও জানা যায়নি। এ দিকে নেত্রকোনার স্থানীয় সূত্র জানায়, ন্যান্সি দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে তার পরিবারে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। তার বাবা নামজুল হক দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে এখন ঢাকায় বসবাস করছেন।