‘ভারতীয় চ্যানেল পরকীয়া শেখাচ্ছে’
বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধের দাবি নতুন নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশি শিল্পীদের তরফ থেকে বার বার এ দাবি উঠেছে। এবার সে দাবিতে সুর মেলালেন নাট্যনির্মাতা এজাজ মুন্না। ভারতীয় চ্যানেলগুলো সাধারণ দর্শকদের পরকীয়া, কূটনামি শেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি ‘যোগাযোগ গোলযোগ’ নাটকের সেটে গ্লিটজের সঙ্গে আলাপচারিতায় মুন্না বলেন, “ভারতীয় চ্যানেলগুলোতে যা দেখানো হয় তা আমাদের সংস্কৃতি, সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে যায় না। আমি মনে করি অবিলম্বে এসব ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করা উচিৎ।”
সেই সঙ্গে আরও বললেন, বাংলাদেশি নাটকের দর্শক ধরে রাখতে বিজ্ঞাপন প্রচারে সীমা নির্ধারণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
“একটি ২০ মিনিট বা ৪০ মিনিটের নাটকে কত মিনিট বিজ্ঞাপন চালাবে তার একটা সীমা থাকা উচিৎ।”
“এখন যে ভাবে চলছে তাতে দর্শক না দেখছে বিজ্ঞাপন না দেখছে নাটক। ঈদের নাটকে এ সমস্যা খুব বেশি লক্ষ্য করেছি।”
হাল আমলের নাটকের অবস্থা ও ধাঁচ নিয়েও কথা বলেন মুন্না। কিছু নতুন নির্মাতার নাট্যভাবনা ও নির্মাণশৈলী আকৃষ্ট করেছে বলে জানান তিনি। তবে বাজেট স্বল্পতা থাকায় অনেক সময় মেধা থাকলেও কাজে লাগানো যায় না বলেও মন্তব্য করলেন মুন্না।
“বাজেট সংকটের কারণে অনেক ক্ষেত্রে মেধার মূল্যায়ন হচ্ছে না। তাই নতুন সব ভাবনার বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।”
নবাগত অভিনেতাদের দ্রুত বিখ্যাত হওয়ার প্রবণতা নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি।
“তরুণদের প্রস্তুতির বড় অভাব রয়েছে। বিভিন্ন চরিত্রের প্রয়োজনে নিজেকে ভেঙ্গে সেই চরিত্রের জন্য তৈরি করতে হয়। চরিত্রের জন্য যে পড়াশোনা, পরিশ্রম করা প্রয়োজন তা ওদের মধ্যে নেই। সাহিত্যের সঙ্গেও ওদের কোনো যোগাযোগ নেই।”
এজাজ মুন্না পরিচালিত ‘যোগাযোগ গোলযোগ’ ধারাবাহিকটি প্রতি সোম ও মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে এনটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে।
নাট্যদল আরণ্যকের হয়ে ‘ময়ূর সিংহাসন’ এবং ‘সংক্রান্তি’তে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয়জগতে নিয়মিত হন এজাজ মুন্না। এরপর টেলিভিশনের জন্য নাটক নির্মাণে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। ‘অন্তহীন’ নাটকের মাধ্যমে নাট্যপরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। তার নির্মিত খণ্ডনাটকের মধ্যে রয়েছে ‘শেষ প্রান্তে’, ‘অংশ’, ‘অন্তহীন’, ‘জনৈক পিতার নথিপত্র’, ‘বোধ’ ইত্যাদি। ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘নীড়’, ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘জেনারেশন নেক্সট ডট’।