রাজনীতির নোংরা কাদা ছুড়াছুড়িতে আমরা মিডিয়াও পিছিয়ে নেই
আকাশ ইসলাম: কিছু ডায়ালগ, বিক্ষোভ, সমাবেশ, মিছিল, পুলিশের তান্ডব, একটি তদন্ত কমিটি এই হল আমাদের রাজনীতি। আর এই রাজনীতিতে প্রাধান্য রাখছিশয়ং আমরা নিজেরাই। বললে হয় খারাপ লাগবে তাও বলতে হচ্ছে দেশের রাজনীতি কাদাছুড়াছুড়িতে আমরা মিডিয়াও পিছিয়ে নেই। বেশি কিছু বলব না কারন বাংলাদেশের মানুষ এখন সব বুঝতে পারে শুধু বলতে পারে না। কারন ভয়!
অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন মিডিয়া কিভাবে রাজনীতির সাথে সংযুক্ত বা কিভাবে কাদা ছুড়াছুড়ি করল। আমি সহজ ভাবে উত্তরগুলো দিচ্ছি। আমাদের কার অজানা নয় যে বাংলাদেশের বেশির ভাগ মিডিয়াই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত। সেটা প্রত্যক্ষ হোক আর পরক্ষ হোক।
দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রধান খবরই এখন রাজনীতি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে দেশেটাকি শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক? কারন সংবাদ মাধ্যমগুলোর ৮০ শতাংশ খবরই থাকে ঢাকার। তার মধ্যে আবার ৭০ শতাংশ হল ডায়লগ। কি বলল? কে বলল? কাকে বলল? এইতো সংবাদ। আসলেকি এটাকে সংবাদ বলা যায় ?
রাজনৈতিক কোন ঘটনা ঘটার সাথেই একটা প্রেস কনফারেন্স এর পর তা ফলাও করে মিডিয়াতে প্রকাশ। রাজনৈতিক ব্যাক্তিরাইকি সংবাদ।
পত্রিকার প্রথম পৃষ্টা জুড়েই থাকবে ডায়লগকৃত সব সংবাদ। বিশ্বাস না হলে আজকের পত্রিকাগুলো পড়ুন অথবা সংবাদ মাধ্যমের সংবাদগুলো দেখুন। বিশেষ অনুরোধ থাকবে বিটিভি দেখুন।
আসুন আমরা পুরো বাংলাদেশটা দেখি। বাংলাদেশের মানুষের কথা বলি। রাজনৈতিক কে প্রাধান্য কম দেই। দেখবেন নোংরা রাজনীতি বন্ধ হতে বেশি সময় লাগবে না। কারন বাংলাদেশের মিডিয়া একটি শক্তি শালি মাধ্যম।
সর্বশেষে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের প্রিন্ট মিডিয়া ও স্যাটেলাইট মিডিয়াতে যারা কাজ করেন তারা অবশ্যই সম্মানের। তারা জাতির জাগ্রতবিবেক। সমাজের অনেক কিছুই যা তাদের বদান্যতায় আমরা জানতে পারি। সমাজকে সচেতন করা, সামজের অসংগতিগুলো তুলে ধরার সফলতায় বাংলাদেশের সাংবাদিক জগত সত্যিই প্রশংসনীয়। সরকার ও কায়েমী স্বার্থবাদীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যারা জাতীয় দ্বায়বদ্ধতা পূর্ণ করছেন তাদেরকে জাতি স্যলুট করছে এবং করবে।
লেখা একান্তই লেখকের ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ি নন।