অর্থনৈতিক উন্নয়নের পিছিয়ে বাংলাদেশ
অর্থনৈতিক উন্নয়নের চারটি সূচকে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। এগুলো হলো- শিক্ষা, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি (আইসিটি), উদ্ভাবন এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনৈতিক সূচক। দক্ষিণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে এ চার সূচকে একেবারেই নিচের দিকে বাংলাদেশের অবস্থান।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)’র দক্ষিণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৮টি দেশের ওপর চালানো গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সফররত এডিবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট বিন্দু এন লোহানী আনুষ্ঠানিকভাবে বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছেন।
প্রতিবেদন মতে, শিক্ষা খাতে ২৮ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৫তম। বাংলাদেশের পেছনে আছে নেপাল, ক্যাম্বোডিয়া ও পাকিস্তান। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া। শিক্ষা খাতে দক্ষিণ এশিয়ার গড় মান ৪ দশমিক ৬৬। আর বাংলাদেশের সূচক মান ১ দশমিক ৭৫। মোট ১০ পয়েন্টে এ মান ধরা হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় আইসিটি খাতে বাংলাদেশের অবস্থান ২৩তম। বাংলাদেশের পরে আছে ক্যাম্বোডিয়া ও মিয়ানমার। এ খাতে দক্ষিণ এশিয়ার গড় মান ৪ দশমিক ২৮। আর বাংলাদেশের সূচক মান ১ দশমিক শূন্য ১।
উদ্ভাবন এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি- এই দুই খাতেই বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম এবং দুটি খাতেই বাংলাদেশের পেছনে আছে মিয়ানমার।
উদ্ভাবন খাতে দক্ষিণ এশিয়ার গড় মান ৪ দশমিক ৫০। আর বাংলাদেশের মান ১ দশমিক ৬৯। জ্ঞানভিত্তিক অর্থনৈতিক সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার গড় মান ৪ দশমিক ৩৯, আর বাংলাদেশের মান ১ দশমিক ৪৯।
প্রতিবেদনে পাওয়ার পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এডিবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট এসব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন দ্রুত হচ্ছে। তবে প্রতিযোগীরা কি করছে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কয়েকটি ক্ষেত্রে উন্নতি করার কথা থাকলেও সময়মতো তা না হওয়াই পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন মুহিত।
তিনি বলেন, ২১ বছর আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে চার শতাংশের মধ্যে। একটা বিশাল সময় আমরা নষ্ট করেছি।