সিরিয়ায় পেণাস্ত্রের আঘাতে মারা যাচ্ছে শিশুরা
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের নিপ্তি পেণাস্ত্রে শিশুসহ দেশটির বহু বেসামরিক লোক নিহত হচ্ছে। গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, ‘এই পেণাস্ত্রগুলো জনবহুল এলাকায় আঘাত করছে। এতে শিশুসহ বহু বেসামরিক লোক মারা যাচ্ছে।’ এএফপি। মানবাধিকার সংস্থাটি ছয় মাসে সংঘটিত ৯টি পেণাস্ত্র হামলার ঘটনা তদন্তে করছে। এ ঘটনায় অন্তত ২১৫ জন নিহত হয়েছে। এইচআরডব্লিউ জানিয়েছে, ফেব্র“য়ারি থেকে জুলাই মাসে সংঘটিত হামলাগুলোতে নিহতদের মধ্যে ১০০ শিশু রয়েছে। সংস্থাটি পেণাস্ত্র আঘাত হানা সাতটি এলাকা পরিদর্শন করে। এ ধরনের পেণাস্ত্রগুলো যখন জনবহুল এলাকায় ব্যবহার করা হয়, তখন সেগুলো সামরিক ল্যবস্তু ও বেসামরিক লোক নির্বিশেষে সবাইকেই আঘাত করে। নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, ‘কৌশলগত কারণেই সামরিক কমান্ডারদের বেসামরিক জনবহুল এলাকায় পেণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া উচিত নয়।’ কিন্তু বেসামরিক জনবহুল এলাকায় এ ধরনের পেণাস্ত্রের উপর্যুপরি ব্যবহার জোরালোভাবে প্রমাণ করছে যে, সেনাবাহিনীর এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। কারণ এই অস্ত্রের দ্বারা বেসামরিক ও যোদ্ধা নির্বিশেষে সবাই আক্রান্ত হয়। সক্রিয় কর্মীদের দাবির সাথে একাত্মতা জানিয়ে এইচআরডব্লিউ বলেছে, দামেস্কের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা কালামুনে ১৫৫তম ব্রিগেড এ ধরনের বেশ কয়েকটি পেণাস্ত্র হামলা চালায়। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সামরিক ভারসাম্য ২০১১ প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, সিরিয়া সেনাবাহিনী স্কাড পেণাস্ত্র, এসএস-২১ টোচকা পেণাস্ত্র ও লুনা-এম পেণাস্ত্র মজুদ করেছে। উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো শহরের আল নাইরাব এলাকায় এক পেণাস্ত্র হামলার পর এক সক্রিয় কর্মী এইচআরডব্লিউকে জানান, এই হামলায় একটি পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলে তুমুল সংঘর্ষ, নিহত ৩০ এ দিকে রয়টার্স জানায়, সিরিয়ার ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী পার্বত্যাঞ্চলে প্রেসিডেন্ট বাশার-আল আসাদ সমর্থিত সেনাদের সাথে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। রোববার ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী জাবাল আকরাদ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রোববার সকালে বিদ্রোহীরা পার্বত্যাঞ্চলের আলাউতি গ্রাম আক্রমণ করলে যুদ্ধ শুরু হয়। এরপরই বিদ্রোহী অবস্থান ল্য করে আকাশ হামলা চালায় সরকারি বাহিনী। রোববার সারাদিন ধরে সংঘর্ষ চলে। ওই সংঘর্ষে আসাদের অনুগত সেনা ও মিলিশিয়াসহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন। অন্য দিকে বিদ্রোহীদের ১২ জন নিহত হয়েছেন বলে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে।