অনলাইনে পরিচয়পত্র দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত ইসির
অনলাইনে আবেদন করে নাগরিকের পরিচয় নিবন্ধনের সুযোগ দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে এ আবেদন করা যাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসির একজন উপসচিব গণমাধ্যমকে বলেন, শিগগির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, কম্পিউটার কাউন্সিল, বেসিসের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কর্মশালা করবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনু-বিভাগ।
এ কর্মশালা থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে কয়েক মাসের মধ্যে অনলাইনে ভোটারদের নানা ধরনের সেবা দেয়া হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে অনলাইন সেবার মধ্যে আছে- ভোটকেন্দ্রের তথ্য দেখা, নিজস্ব তথ্য দেখা, তথ্য পরিবর্তন, ঠিকানা পরিবর্তন, ভোটার এলাকা পরিবর্তন, পুনমুদ্রণের জন্য আবেদন করা।
এছাড়া আছে ছবি, স্বাক্ষর ও অন্যান্য পবির্তনের জন্য আবেদন নেয়া, আবেদন ট্র্যাকিং করা, সাধারণ জিজ্ঞাসা ও ফরম ডাউনলোড।
অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার পদ্ধতির বিষয়ে ইসির ভোটার তালিকা প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা জানান, ইসির নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে ভোটার যোগ্যরা নির্ধারিত ফরম (নিবন্ধন ফরম ২) তথ্য এন্ট্রি করবেন। ডাটা সংরক্ষণের পর ২ নম্বর ফরমের মতো একটি ফরম তৈরি হবে। এরপর আবেদনকারীর মোবাইল ফোনে এ সংক্রান্ত এসএমএস যাবে।
বর্তমানে ভোটারদের লেমিনেটে পরিচয়পত্র দেয়া হয়। আগামীতে আধুনিক প্রযুক্তির টেকসই ‘স্মার্টকার্ড’ নামে জাতীয় পরিচয়পত্র বিনামূল্যে বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর বা ইমেইল ঠিকানায় অথবা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তা নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজনীয় প্রমাণ সাপেক্ষে আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক ফিচার নেয়ার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র প্রথমবার বিনামূল্যে সংগ্রহ করা গেলেও পরবর্তীতে নবায়ন ও হারানোর বিষয়ে ফি প্রস্তাব করেছে ইসি। দুই ধরনের সেবার জন্যে ‘সাধারণ’র দ্বিগুণ ফি প্রস্তাব করা হয়েছে ‘জরুরি’ ভাবে পরিচয়পত্র সংগ্রহে।
নবায়নে সাধারণ ফি ধরা হয়েছে আড়াইশ’ টাকা। যা আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে পাওয়া সম্ভব হবে। তবে জরুরি ক্ষেত্রে দ্বিগুণ ফি অর্থাৎ ৫০০ টাকা দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে তা নবায়ন করা যাবে।
হারানো বা নষ্ট হলে পরিচয়পত্র পেতে প্রথমবার আবেদনে ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা, দ্বিতীয়বার আবেদনের ১ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকা এবং পরবর্তী যেকোনো বারে আবেদন করতে সাধারণ সময়ে ২ হাজার টাকা ও জরুরি সময়ে ৪ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে।
বর্তমানে ৯ কোটি ২০ লাখেরও বেশি ভোটার তালিকাভুক্ত আছে। এ বছর হালনাগাদ শেষে দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ জনগণ ভোটার তালিকাভুক্ত হবে।