নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সমঝোতার পথ তত ক্ষীণ হচ্ছে : সুরঞ্জিত

Suranjitআওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে সমঝোতার পথ তত বন্ধ হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সময় যত এগিয়ে আসছে সাংবিধানিক ভাবে নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে। আলোচনার পথ ক্ষীণতর হচ্ছে, সমঝোতার পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’ সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত মঙ্গলবার দুপুরে শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক কবি বেলাল মোহাম্মদএর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিভাগীয় শাখা এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে সভায় প্রবীণ সাংবাদিক কামাল লোহানী, অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান, কৃষক লীগের সহ সভাপতি এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, যুক্তরাষ্ট্র শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটকে প্রতিহত করতে দেশের সকল গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল শক্তিদের আবারো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমস্ত প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলকে সাথে নিয়ে মহাজোটকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। মহাজোটকে সম্প্রসারিত করতে হবে। তাহলেই তারা পরাজিত হবে। দলের নেতৃবৃন্দ যতবেশি এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করবেন ততই মঙ্গল হবে। আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগকে আরও সুসঙ্গবদ্ধ ও সম্প্রসারিত করতে হবে। যাতে যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্রকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা যায়। তিনি বলেন, যত দিন যাচ্ছে জঙ্গীবাদী, উগ্রবাদী, সাম্প্রদায়িক, স্বৈরাচার শক্তি একতাবদ্ধ হচ্ছে। ৫ টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ী হয়ে তারা আস্ফালন করছে। কিন্তু তাদের বিপরীত শক্তিগুলো এখনো ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে না। সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হলে তা কারোর জন্যই মঙ্গল হবে না। রাজনীতিতে সন্ত্রাস, সংঘাত উত্তরোত্তর বাড়বে। আশা করি নেতৃত্ব এ বিষয়টি অনুধাবন করবেন। তিনি বলেন, রাজনীতিকে মোকাবেলা করতে হবে রাজনীতি দিয়েই। জাতীয় নির্বাচন জাতীয় আঙ্গিকেই হবে, এখনো আমরা যদি এক হই তাহলে অতীতের মতো আবারো তাদের পরাজিত করতে পারব। বেলার মোহাম্মদের স্মৃতি চারণ করে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, ঊনসত্তরের গণঅভুত্থান, সত্তরের সাধারণ নির্বাচন ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনিই প্রথম স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেন এবং মুজিব সরকারের পরিচালনায় স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্র চালু রেখে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখেন। তিনি বলেন, বেলাল মোহাম্মদ একজন কবি ছিলেন। সারা জীবন তিনি কবিতা লিখেছেন। চিন্তা ও চেতনায় তিনি ছিলেন সংগ্রামী। সারা জীবনই তিনি সংগ্রাম করেছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button