স্থানীয় সরকার না থাকলে সংসদীয় গণতন্ত্র থাকে না : বিচারপতি আব্দুর রউফ
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান যখন বাংলায় অনুবাদ করা হয়, তখন অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। লোকাল গর্ভমেণ্টের বাংলা করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু এর বাংলা হলো স্থানীয় সরকার। স্থানীয় সরকার না থাকলে সংসদীয় গণতন্ত্র থাকে না।’
গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত উর্দূভাষী সংখ্যালঘু কাউন্সিল-বাংলাদেশ আয়োজিত এক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রবিবার দুপুরে তিনি এ সব কথা বলেন।
১৬ আগস্ট ১৯৪৬ কলকাতা গণহত্যা স্মরণে আয়োজিত সিম্পোজিয়ামে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার হায়দার আলী, বিশিষ্ট সাংবাদিক এরশাদ মজুমদার, মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রফেসর দীনা সিদ্দিকী প্রমুখ।
বিচারপতি আব্দুর রউফ বলেন, ভাষা গৌণ বিষয়, মুখ্য নয়। ভালোবাসা মুখ্য বিষয়। ব্রাহ্মণ্যবাদ ভারতকে এক রাখতে দেয়নি। এই অঞ্চলের চেয়ে ভারতের সমস্যা ১০০ গুণ বেশি। ভারতের সমস্যা বাংলাদেশ-পাকিস্থানের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন,কার উদ্দীপনায়, কার উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিষফোড়ার মতো জেনেভা ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল? যারা এসেছিল তারা সবাই কর্মঠ লোক ছিল। তাদেরকে যদি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হতো তবে তারা ১৫/২০ বছরের মধ্যে আমাদের মতো হয়ে যেত।’
তিনি বলেন,ভারতের সঙ্গে যত বন্ধুত্ব করি না কেন, ভারত আমাদের তার জায়গায় ঘর তুলতে দেবে না, সৌদীর সঙ্গে যত বন্ধুত্ব করি না কেন, তার জায়গায় আমাদের ঘর তুলতে দেবে না। এমন কী আমেরিকার সঙ্গে যত বন্ধুত্ব থাকুক তারা ঘর তুলতে দেবে না।
তিনি বলেন, ‘বাঙালী জাতীয়তাবাদের বিষয়টি যেমন, তেমনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বিষয়টিও বাইরের চিন্তা, বাংলাদেশের ভেতরের নয়।’
বিহারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,আপনাদের কাছে অনুরোধ রাখবো নিজে নিজের সমস্যা সমাধান না করলে কেউ সমাধান করে দেবে না। আপনারা মনে প্রাণে বাংলাদেশের হয়ে আপনাদের দাবি তোলেন। আমরা আপনাদের দাবির পক্ষে থাকবো।
তিনি বলেন,পাঞ্জাবীদের বুদ্ধিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত উর্দূভাষীদের জেনেভা ক্যাম্পে ঢোকানো হয়েছে। যখন দেখলেন বাংলাদেশ হয়ে গেছে তখন পাকিস্থানের অপশন কেন নিলেন? বিহারীদের এই বিষয়টিকে কিছু অপরিপক্ক রাজনীতিবিদ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য জিয়িয়ে রাখলেন।