এক্সেলসিয়র সিলেট প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত হচ্ছে

Bishwaপ্রবাসীদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানের ফাইভ স্টার হোটেল এক্সেলসিয়র সিলেট প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত হচ্ছে। হযরত শাহ পরান (র.) এর মাজারের নিকটবর্তী সিলেটের খাদিম পাড়ায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম হলিডে রিসোর্ট ও বাংলাদেশের প্রথম ইকো পার্ক জাকারিয়া সিটি নিয়ে সাজানো হচ্ছে এক্সেলসিয়র সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্ট। প্রায় ৬০ কেদার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত ৫০ হাজার বৃক্ষরাজি সমৃদ্ধ এই প্রতিষ্ঠানে রয়েছে দুটি হোটেল ভবন। একটির নাম ক্যামেলিয়া ও অপরটি মধুমালতি। নিজস্ব হরিণসহ বহু জাতের পাখির কলকাকলিতে মুখরিত ছায়া ঘেরা বিজনেস ও ফ্যামিলি স্যুটগুলো সত্যি চিত্তাকর্ষক। এর সাথে যোগ হবে প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটস ও হানিমুন স্যুটস সহ আরো দেড় শতাধিক অত্যাধুনিক কক্ষ। ইতোমধ্যে সাফল্যের প্রথম সোপান পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছেন এক্সেলসিয়রের উদ্যোক্তারা।
গত ৫ আগষ্ট সোমবার বিকেলে পূর্ব লন্ডনের একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এতথ্য জানানো হয়। এক্সেলসিয়র সিলেটের চেয়ারম্যান শাহ জামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সাঈদ চৌধুরী । ডাইরেক্টর ও শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন হাজী এলাছ মিয়া, রাকিব আলী, দৌলত খান বাবুল, ফয়জুর ইসলাম, ইউনুস আলী, আজাদ মিয়া, মাসুম আহমদ, আহমদ আলী, ফারুক মিয়া, শেখ মোফাজ্জল হোসাইন, হাফিজ আহমদ চৌধুরী, মিনা বেগম, আব্দুল মন্নান বশির, মুহিবুল হক, আব্দুল বাসিত খান, শাহেদ আহমদ চৌধুরী, কমর উদ্দীন, জিলু মিয়া, মতিন খান, তোফায়েল মোহাম্মদ, রফিকুল ইসলাম, হাফিজ রশিদ আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, আবুল বশর, জো¯œা বেগম চৌধুরী, মোহাম্মদ হেলাল, আব্দুল মন্নান আলী, একাউন্টেন্ট আয়াছ মিয়া, ওয়াহিদ আলী, এনামুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তব্য রাখেন লন্ডন বাংলা সম্পাদক কেএমআবু তাহের চৌধুরী, বাংলা টাইমসের প্রধান সম্পাদক তাজ রহমান, কবি ও কলামিষ্ট অধ্যাপক ফরীদ আহমদ রেজা, চ্যানেল-এস এর চীপ রিপোর্টার মোহাম্মদ জোবায়ের, বাংলা টিভির চীপ রিপোর্টার ইব্্রাহিম খলিল, বাংলা মিরর সম্পাদক আব্দুল করিম গণি, দর্পন সম্পাদক রহমত আলী, স্পেক্টাম বাংলা রেডিও উপস্থাপক ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিসবাহ জামাল, কলামিস্ট শফি আহমদ, দ্যা সানরাইজ টুডের নির্বাহী সম্পাদক এনাম চৌধুরী।
অতিথি ও বিশিষ্ট জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার আশুলিয়া হাউজিংয়ের ডাইরেক্টর ড. রফিক হিলালী, সাপ্তাহিক জনমতের বার্তা সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন, এটিএন ইউরোপের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হাফিজ আলম বক্স, এনটিভির ডাইরেক্টর মোস্তফা সারওয়ার, চ্যানেল নাইন এর হেড অব নিউজ এন্ড প্রোগ্রাম হাসান হাফিজুর রহমান, সাপ্তাহিক পত্রিকার সাব-এডিটর মতিউর রহমান চৌধুরী, বাংলা নিউজ সম্পাদক সুয়েব কবির, মানাজ মিডিয়ার সিইও আব্দুল অউয়াল মামুন, মোহাম্মদ শামসুল হক, সানু মিয়া, একাউন্টেন্ট অব্দুস শহীদ, চ্যানেল-এস এর মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ নাজিম চৌধুরী, চ্যানেল আই সেল্স এক্সিকিউটিভ আহমদ শামীম, ফ্রি ল্যান্স রিপোর্টার ফজলুল হক, ক্লিক মিডিয়ার পরিচালক মুনমুন আহমদ লিজা, সাংবাদিক সাইফ রহমান প্রমুখ। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা শুয়েব আহমদ।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয় এক্সেলসিয়র সিলেটের সুবিধা সমুহের মধ্যে থাকছে – আন্তর্জাতিক মানের ফাইভ স্টার হোটেল ও রিসোর্ট, দুই শতাধিক লাক্সারি রুম-স্যুট ও কটেজ, কন্ফারেন্স ও ব্যাঙ্কুুইটিং হল, মনোমুগ্ধকর রূফটপ ডাইনিং, উপমহাদেশীয় মেন্যু বৈচিত্রে ভরপুর অভিজাত রেস্টুরেন্ট, আন্তর্জাতিক মানের ফুডকোর্ট, গিফট শপ ও কনভেনিয়েন্স স্টোর, মহিলাদের পৃথক শপিং ও লেজার সুবিধা, সুইমিং পুল, স্পা, ছোনা, জ্যাকুজি ও ফিটনেস জিম, আধুনিক হেয়ার কাট ও বিউটি পার্লার, স্কোয়াস, টেনিস ও বলিং সমৃদ্ধ স্পোর্টস হল, প্রতিবন্ধিদের জন্য বিশেষ সুবিধা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ, সিসি টিভি সহ অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের নিশ্চয়তা, ইন্টারনেট ও ওয়াইফাই সার্ভিস, আকর্ষণীয় খেলনা সামগ্রী নিয়ে কিড্স ওয়ান্ডার, কর্পোরেট বিজনেস সেন্টার, ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম সার্ভিস, এক্সকুইজিট ফ্লোরিস্ট, মাল্টি লিঙ্গুয়াল স্টাফ, বর্ণিল বাগান, সুপরিসর কার পার্ক, জরুরি মেডিকেল সার্ভিস, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ইত্যাদি।
কনফারেন্স ও ব্যাঙ্কুুইটিং হল: বিয়ে, জন্মদিনসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সম্মেলন ইত্যাদি ইভেন্ট আয়োজনের প্রধান আকর্ষণ হবে এক্সেলসিয়র কনফারেন্স এন্ড ব্যাঙ্কুুইটিং হল। বর্তমানে এখানে রয়েছে ৫০০ ও ২০০ আসনের দুটি কনফারেন্স ও ব্যাঙ্কুইটিং হল। অচিরেই অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ১০০০ আসনের  আরেকটি হল নির্মাণ করা হবে, যাতে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক বসার ব্যবস্থা থাকবে।
রূফটপ ডাইনিং ও ফুডকোর্ট: এক্সেলসিয়রের দুটি ফ্লোর জুড়ে রয়েছে কন্টিনেন্টাল ক্যুজিন। শিঘ্রই বুফে খাওয়ার ব্যবস্থাও চালু হবে। উচু টিলার সুরম্য ছাদে রূফটপ ডাইনিং হবে মনোমুগ্ধকর। অবলোকন করা যাবে ৪শত প্রকারের ৫০ হাজার বৃক্ষের নয়নাভিরাম দৃশ্য, ঐতিহাসিক স্থাপনা সমূহ, মনোহরা চায়ের উদ্যান, অসংখ্য বৃক্ষরাজিতে ছেয়ে থাকা জনপদ ও লোকালয়। উপমহাদেশীয় ম্যেনু বৈচিত্রে ভরপুর আভিজাত রেস্টুরেন্টে থাকবে ফিউশন খাবার, বাংলাদেশী, চায়নিজ, থাই সহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের মজাদার খাবার। থাকবে প্রাইভেট বুকিং সুবিধা এবং পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-বন্ধু কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক ভোজ সভায় মিলিত হবার অনন্য সুযোগ। এক্সেলসিয়র সিলেটের ফুডকোর্ট হবে ভোজনপ্রিয় মানুষের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। বৈচিত্র আর মান সম্পন্ন খাদ্য সমাহার নিয়ে শিশু-কিশোরদের সার্বক্ষণিক মাতিয়ে রাখবে এই ফুডকোর্ট। পৃথক আউটলেটে থাকবে বেনডেড হেলথ বেভারেজ, হালকা স্ন্যাক্স, বাহারি আইসক্রিম, তাজা ফলের রস ও রকমারি খাবার। পরিবেশ বান্ধব ডাইনিং ব্যবস্থাপনা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবেন।
স্পোর্টস এন্ড লেজার: এক্সেলসিয়রের অতিথিবৃন্দ কেবল স্বাচ্ছন্দময় রাত্রি যাপন কিংবা স্বাস্থ্যপ্রদ রকমারি খাদ্য উপভোগের মধ্যেই সীমিত থাকবেন না। খেলাধুলা, শরীর চর্চা এবং বিনোদনের ক্ষেত্রেও চমৎকার পরিবেশ উপভোগ করবেন। এই স্পোর্টস ও লেজার সেন্টারটি সাজানো হচ্ছে বিশ্বমানের ক্রীড়া সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি দিয়ে। এতে থাকছে হেল্থ ক্লাব, ফিটনেস জিম, বিউটি পার্লার, সুইমিং পুল, স্পা, জ্যাকুজি ও ছওনা। স্পোর্টস সেন্টারে অতিথিরা স্কোয়াস, বলিং, টেনিসসহ বিভিন্ন রকম খেলাধুলার সুযোগ পাবেন। সর্বাধুনিক ফিটনেস সামগ্রী ব্যবহারে সহায়তার জন্য নিয়োজিত থাকবেন সুদক্ষ ইন্সট্রাক্টর।
উইমেন্স ওয়ার্ল্ড: সত্যিকার অর্থে উইমেন্স ওয়ার্ল্ড হবে মহিলাদের একটি আপন ভুবন। এতে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য পণ্য বিপণন ও অন্যান্য সেবা প্রদান করা হবে। এখানে এলিগেন্ট বিউটি পার্লারে সৌন্দর্য চর্চা ও থেরাপী হবে সকলের পছন্দ। সম্পূর্ণ মহিলা কর্তৃক পরিচালিত একান্ত পরিবেশে তারা ফ্যাশন সামগ্রী ক্রয়, হালকা স্ন্যাক্স ও পানীয় সুবিধা উপভোগ করবেন। উইমেন্স ওয়ার্ল্ডে শিশুদের পরিচর্যার ব্যবস্থাও থাকবে।
কিড্স ওয়ান্ডার: শিশুদের চিত্ত বিনোদন এবং খেলাধুলার জন্য থাকবে বিশ্বমানের কিড্স ওয়ান্ডার। প্লে স্টেশন, এক্সবক্স, নিনটেন্ডো, লেজার গান, কম্পিউটার গেমসহ নতুন নতুন খেলনা সামগ্রী দিয়ে সাজানো হবে এটি। শিশুরা মেতে উঠবে মনের আনন্দে। টয় শপ থেকে পছন্দ মত খেলনা ক্রয় করাও যাবে। শিশুদের জন্য আরো থাকবে কম্পিউটার ও লাইব্রেরি। যেখানে তারা মজার মজার গল্প ও ফিকশন পড়ে অভিভূত হবে।
আইকোনিক: আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের সুনিপুন কারুকাজে দক্ষ প্রকৌশলিদের দ্বারা জাতীয় বিল্ডিং, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কোড অবলম্বনে নির্মিত হবে এক্সেলসিয়রের নতুন নতুন স্থাপনা। রিসিপশন থেকে শুরু করে ডাইনিং পর্যন্ত প্রতিটি স্তরের নান্দনিকতায় মুগ্ধ হবেন যে কেউ। এতে প্রকাশ ঘটবে সিলেটের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি – যা অতিথিদের কাছে টানবেই।
সভায় সিলেটে আন্তর্জাতিক মানের হোটেল ও রিসোর্ট প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলা হয়, পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় সিলেট: প্রতি সপ্তাহে শত শত মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে সিলেট। ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক নিদর্শনাবলীর কারণে সিলেট প্রাচীনকাল থেকেই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত। হযরত শাহজালাল (রহ) সহ ৩৬০ আউলিয়ার স্মৃতি বিজড়িত অগণিত সুফি সাধক ও কৃতি পুরুষের জন্মভূমি, জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী রতœগর্ভা এই সিলেট। রূপসী বাংলার অপরূপ অলংকার সিলেটের নাম উচ্চারণ করার সাথে সাথে চা বাগান, মনোরম টিলা, হাওর, নদী, প্রভৃতির কথা মনে পড়ে। সুরমা-কুশিয়ারা-মনু-খোয়াই বিধৌত দুুটি পাতা একটি কুড়িঁর দেশ- সিলেট ঘন সবুজ সমারোহের বনরাজি ঘেরা মনোরম নিসর্গের লীলাক্ষেত্র।
বিশাল বিশাল পাহাড় জুড়ে বিস্তৃত বৃহত্তর সিলেটের বড়লেখায় রয়েছে বিখ্যাত জলপ্রপাত মাধবকুন্ড। ঘন সবুজ পত্র-পল্লবে ঢাকা পাহাড়ের দু’শ ফুট উচুঁ থেকে অবিরাম ধারায় প্রবল বেগে ঝরণার পানি নামার শব্দ ও দৃশ্য অপূর্ব। প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর এক স্বপ্নের জগত বলেই মনে হয়। শীত মৌসুমে সুদূর সাইবেরিয়া ও হিমালয় থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসা অতিথি পাখিদের মিলন ক্ষেত্র হাকালুকি হাওর পর্যটকদের জন্য অনন্য স্থান। পাহাড় ও সবুজ অরণ্যের মাঝে শ্রীমঙ্গলের চা বাগানগুলো ক্ষণিকের জন্য হলেও ভুলিয়ে দেয় সব কিছু। ভ্রমণ প্রিয়দের আরেকটি প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে জাফলং। খাসিয়া পাহাড় ও সারি নদীর পাশ জুড়ে বিস্তৃত হিমালয় থেকে নদীর ঢেউয়ে ভেসে আসা নূড়ি পাথর কুড়িয়ে আনার মত।
পেট্রোল, গ্যাস, পাথরসহ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সিলেটে সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, পেপার এন্ড পাল্প মিল্স, সার কারখানা ও প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রের মতো বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রায় পাঁচ হাজার বর্গমাইলের এক কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশের প্রান্তিক জনপদ বৃহত্তর সিলেট জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে সম্পদ, মেধা ও অবদানের নিরিখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সবার ওপরে রয়েছে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী চির অভিযাত্রী দুঃসাহসী মানব সম্পদ- যাদের বলা হয় বাংলাদেশের কলম্বাস।
এনআরবি: ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের ১৪০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে আছেন প্রায় ৭০ লাখ বাংলাদেশী। প্রতি বছর এই বিপুল সংখ্যক প্রবাসির একটা উল্লেখযোগ্য অংশ সিলেট ভ্রমণ করেন। এক্সেলসিয়র এই সব প্রবাসিদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে।
ইকোনমিক জোন ও স্টেডিয়াম: বাংলাদেশ সরকার প্রবাসী এবং বিদেশিদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সিলেটে স্পেশাল ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া সিলেট গল্ফ ক্লাবের সন্নিকটে একটি বিশ্বমানের স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই স্টেডিয়ামে ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলাধুলা হবে। বিপুল সংখ্যক মানুষের নিয়মিত আগমন ঘটবে সিলেটে। ফলে এখানে আন্তর্জাতিক মানের আবাসন সুবিধা এখন সময়ের দাবী।
সেভেন সিস্টার্স: সিলেটের সন্নিকটে রয়েছে ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত সাতটি গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ। এখান থেকে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরামসহ সেভেন সিস্টার্সের অন্যান্য স্থানে ভ্রমণ খুবই সহজ। নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আচ্ছাদিত গারো, খাসিয়া, জৈন্তা ও কাছাড় সহ প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ফুট উচু শিলং পাহাড়। ইতোমধ্যে এই সব এলাকা পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণীয় ক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ অঞ্চলে আন্তর্জাতিক মানের কোন হোটেল না থাকায় এক্সেলসিয়র এই চাহিদা পুরণে সক্ষম হবে।
এশিয়ান হাইওয়ে: ইউরোপ থেকে এশিয়া বিস্তৃত সড়ক পথ এশিয়ান হাইওয়ে ভারত হয়ে সিলেটে মিশেছে। এটিই মায়ানমার, চায়নাসহ বিভিন্ন দেশের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এতে সাউথ এশিয়ান ইকোনমিক হাব হিসেবে সিলেটের বিস্তৃতি ঘটবে বিশ্বময়।  বিদেশী পর্যটক ও ব্যবসায়িদের যাতায়াত বেড়ে যাবে। সিলেট ভ্রমণকারীদের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দময় পরিবেশে খাবার ও অবস্থান নিশ্চিত করবে এক্সেলসিয়র।
সভায় দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করা হয় যে, সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদানের প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করছে এক্সেলসিয়র। এতে বিশ্ব মানের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। এটি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা সৃষ্টি করবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button