ফিলিস্তিনী দূতাবাসে খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ
গাজায় ইহুদীবাদী ইসলাইলের অব্যাহত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে ও মজলুম ফিলিস্তিনী ও গাজাবাসীর প্রতি সমবেদনা ও সংহতি প্রকাশের জন্যে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকাস্থ ফিলিস্তিনী দূতাবাসে গিয়ে ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রদূত শাহের মোহাম্মদ এর সাথে সাক্ষাত করেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বারিধারাস্থ ফিলিস্তিন দূতাবাসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক আবদুল হালিম, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল ও মাওলানা নোমান মাযহারী।
এ সময় খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে অবরুদ্ধ গাজাবাসী ও ফিলিস্তিনীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের সকল জনগণ ফিলিস্তিনীদের আন্দোলন ও সংগ্রামের পক্ষে রয়েছে। গাজার ইহুদীবাদী ইসরাইলের বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসী রাজপথে নেমেছে। কিন্তু কিছু স্বার্থবাদী দেশ ও রাষ্ট্র নেতারা নিজেদের ক্ষমতার স্বার্থে ফিলিস্তিনীদের সাথে বেইমানী করছে। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ন্যায়সংগত দাবীকে প্রলম্বিত করছে। কিন্তু শত ষড়যন্ত্র ও বাঁধাবিঘœ মোকাবেলা করেই ফিলিস্তিনীরা অচিরেই বিজয় লাভ করবে। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ। তিনি গাজায় ইসরাইলী বর্বর হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ এবং অবরোধ তুলে নেয়ার দাবী জানান।
এ সময় ফিলিস্তিনীদের সংগ্রামে বাংলাদেশের জনগণের অকুন্ঠ সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রদূত শাহের মোহাম্মদ বলেন, অবরুদ্ধ গাজাবাসী ও ফিলিস্তিনী জনগণ এখন অবর্ণনীয় দূরাবস্থা ও আংশকার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। এ অবস্থায় বিশ্ববাসীর সার্বিক সহযোগীতা ও সমর্থন অত্যন্ত জরুরী। ইহুদীবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন মোকাবেলায় বিশ্বসম্প্রদায় বিশেষকরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহের সম্মিলিত সহযোগীতা সময়ের দাবী। বৈঠকটি প্রায় দীর্ঘ ২ ঘন্টা স্থায়ী হয়।