যুদ্ধবিরতির পর গাজায় বিজয় উল্লাস
ইসরাইলের সাথে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির পর গাজায় আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। তারা এটাকে তাদের বিশাল বিজয় মনে করছে। অবশ্য ইসরাইলও জয় দাবি করেছে।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মঙ্গলবার রাতে অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে ঘোষণা করেন যে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সব পক্ষ একমত হয়েছে। এটা কার্যকর হবে মঙ্গলবার ১৬০০ জিএমটি থেকে। তিনি বলেন, এই সমঝোতার ফলে একটি নতুন জাতি গঠন এবং দখলদারিত্বের অবসান ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হলো।
তিনি যুদ্ধবিরতিতে ভূমিকা রাখার জন্য মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। মিসরের রাজধানী কায়রোতে পরোক্ষ আলোচনার মাধ্যমে এই যুদ্ধবিরতি অর্জিত হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এপি জানিয়েছে, ইসরাইলি কর্মকর্তারা যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইসরাইলি মিডিয়াও বিষয়টি স্বীকার করেছে।
হামাসের প্রবাসী উপপ্রধান মুসা আবু মারজুক বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি ‘প্রতিরোধ আন্দোলনের একটি বিরাট জয়।’
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সাথে সাথে হাজার হাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ফিলিস্তিনিরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। অনেকে ভি চিহ্ন প্রদর্শন করে।
বেশ কয়েকজন সিনিয়র হামাস ও ইসলামিক জিহাদ নেতা প্রকাশ্যে দেখা দেন। সিনিয়র জিহাদ নেতা মোহাম্মদ আল-হিন্দি গাজা সিটির রিমাল এলাকায় হাজার হাজার লোকের সামনে বক্তৃতাও করেন।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী অফির গেন্ডেলম্যান বলেন, গাজা অপারেশন ছিল ইসরাইলের জন্য বিজয়। মিসরের যে প্রস্তাব হামাস আগে প্রত্যাখ্যান করেছে, এবার সেটাই তারা গ্রহণ করেছে। ইসরাইলি সরকারের মুখপাত্র মার্ক রাগেভ আলজাজিরাকে বলেন, হামাস ১৫ জুলাইয়ের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলে রক্তপাত ‘এড়ানো’ যেত।