শ্রীলঙ্কায় ৫০০০০ টন চাল রপ্তানি করবে বাংলাদেশ
আমদানি নয়, এবার ৫০ হাজার টন মোটা চাল রপ্তানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। জি টু জি ভিত্তিতে প্রতি টন ৪৯৩ ডলার দরে এসব চাল রপ্তানি করা হবে। শ্রীলঙ্কান সরকার বাংলাদেশ থেকে জরুরি ভিত্তিতে চাল আমদানির আগ্রহের ভিত্তিতে
এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। আজ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদনের জন্য উঠবে। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশস্থ শ্রীলঙ্কান হাই কমিশন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব পাওয়ার পর চাল রপ্তানির বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মতামতের জন্য পাঠানো হয়। খাদ্য অধিদপ্তর তাদের মতামতে জানায়, বর্তমানে সরকারি ভাণ্ডারে প্রায় ১১ লাখ টন চালের মজুত রয়েছে। গত বছরের এ সময়ের চেয়ে এ মজুত প্রায় আড়াই লাখ টন বেশি। দেশের বর্তমান চালের উৎপাদন এবং সরকারি গুদামে মজুত পর্যালোচনায় ৫০ হাজার টন থেকে এক লাখ টন চাল সরকারি পর্যায়ে রপ্তানি করা যেতে পারে। খাদ্য অধিদপ্তরের এ মতামত পাওয়ার পর বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন থেকে জাহাজ ভাড়া সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন সংগ্রহ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরপর চালের অর্থনৈতিক মূল্য, জাহাজীকরণ, ইন্স্যুরেন্স, পরিবহন ব্যয় ইত্যাদি বিবেচনা করে রপ্তানির জন্য চালের সম্ভাব্য দাম ৪৯৩ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি টন চালের গুদাম মূল্য ৪৫৫ ডলার, জাহাজ ভাড়া ৩০ ডলার, ইন্স্যুরেন্স খরচ ২ ডলার এবং গুদাম থেকে বন্দর পর্যন্ত পরিবহন খরচ ৬ ডলার প্রাক্কলন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে মোটা চাল রপ্তানি করেনি। বর্তমানে দেশে মজুত বিবেচনায় ৫০ হাজার টন সিদ্ধ মোটা চাল রপ্তানি করলে বাংলাদেশ চাল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ পাবে। পাশাপাশি মোটা চাল রপ্তানি করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাণিজ্য সমপ্রসারণের দিগন্ত উন্মোচিত হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানো সারসংক্ষেপে চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলে ধরে বলেছে, মোটা চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশ অনুযায়ী সুগন্ধি চাল ছাড়া অন্যান্য সকল প্রকার চালের রপ্তানি আগামী বছরের ৩০শে জুন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওই নিষেধাজ্ঞার আওতা থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল রপ্তানির অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমদ হোসেন খান মানবজমিনকে বলেন, বাস্তবতার আলোকেই চাল রপ্তানি করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন পেলেই চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হবে।