হামাসের এক নারী যোদ্ধা যেভাবে হত্যা করল ইসরাইলি কর্নেলকে

Hamasহামাসের এক নারী মুজাহিদার অসাধারণ হামলায় নিহত হলো ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দোলেভ কেদারসহ চার ড্রাকুলার সেনা সদস্য!
হামাসের এক নারী যোদ্ধার সুকৌশলী আক্রমণে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দোলেভ কেদার নিহত হয়েছে। বুধবারের এই হামলায় এই কমান্ডারের সাথে আরো তিন সেনা নিহত হয়েছে। কমান্ডারের এই হত্যার পর সারা ইসরাইলে ব্যাপক শোক নেমে এসেছে এবং ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক ভীতি বেড়েছে। তবে এই নারী যোদ্ধাও শহীদ হয়েছেন।
কৌশলের বর্ণনা : ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণের অংশ হচ্ছে কিছু গোপন সিগন্যাল ও কোড নাম্বার। হামাসের হাতে বন্দী রয়েছে ইসরাইলি নারী যোদ্ধা। হামাস চাপ প্রয়োগ করে এবং এই ইসরাইলি নারী যোদ্ধাকে বাধ্য করে সেই গোপন সংকেত ব্যবহার করে তার কমান্ডারকে বলে যে সে অনেক গোপনে অনেক কষ্ট করে হামাসের হাত থেকে পালিয়ে অমুক জায়গায় অপেক্ষা করছে, তাকে হেলিকপ্টারে করে যেন উদ্ধার করা হয়। তখন ওই স্থানে ইসরাইলি ওই নারী যোদ্ধার বদলে বরং হামাসের আল-কাসেম ব্রিগেডের সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক নারী মুজাহিদিনকে ইসরাইলি ওই নারীযোদ্ধার পোশাক, ব্যাচ পরিয়ে রাখা হয়। ইসরাইলি ওই নারী যোদ্ধার গোপন সিগন্যাল সংকেত এবং সামরিক কোড নাম্বার সবকিছু জেনে নেন ওই ফিলিস্তিনি মুজাহিদিন বোন।
উল্লেখ্য, এই বোন ইসরাইলি হিব্রু ভাষায় খুবই পারদর্শী। ইসরাইলি হেলিকপ্টার বাহিনী তাঁকে উদ্ধার করতে আসে এবং তখন এই মুজাহিদিন বোন নিজের ব্যাচ, সিক্রেট সিগন্যাল এবং কোড নাম্বার বলতে পারেন, তাতে হেলিকপ্টার বাহিনী এটি তাদের হারিয়ে যাওয়া সেই নারী যোদ্ধা ভেবে উদ্ধার করে নিয়ে যায় সেনা ক্যাম্পে।
উল্লেখ্য, হামাস আবিষ্কার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক ইউনিটের মানুষ অন্য ইউনিটকে চিনে শুধুমাত্র ওই কোড নাম্বার আর ব্যাচ দিয়ে। এই মুজাহিদিন বোন কৌশলের অংশ হিসেবে লোক দেখানোর জন্য ইহুদি স্টাইলে প্রার্থনাও করে সেনা ক্যাম্পে। ইসরাইলি বাহিনী বুঝতেও পারেনি যে এটা আসলে হামাসের মুজাহিদিন। ইসরাইলি বাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দোলেভ কেদার তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত্ এবং সম্মান ব্যাচ পরানোর জন্য তার কাছে নিয়ে আসতে বলে। আর সেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন এই মুজাহিদিন বোন। যখনই তিনি কনফার্ম হন যে এটা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দোলেভ কেদার, তখনই তাঁর কাছে যে ইসরাইলি আধুনিক অস্ত্র ছিল সেটা দিয়ে হামলা চালান, আর সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই কমান্ডার। তাঁর দেহরক্ষী ৯ সৈন্য তখন গুলি চালায়, কিন্তু তাদের গুলি চালানোর পূর্বেই আরও তিন সৈন্যকে ঘায়েল করে এই ফিলিস্তিনি মুজাহিদিন বোন। আর এর পরপরই সকল ইসরাইলি সেনা চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাঁকে এবং তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
উল্লেখ্য, এই নারী মুজাহিদিন বোন আগে থেকেই জানতেন যে তিনি ওখান থেকে জীবিত ফিরে আসতে পারবেন না। যখন তিনি শেষ বিদায় দেন তাঁর স্বামীকে, যিনি হামাসের আরেকজন যোদ্ধা, তখন তিনি বলেন, দেখা হবে জান্নাতে। আমি একটু আগে গেলাম, তুমি এসো, তোমার অপেক্ষায় তোমার এই প্রিয় স্ত্রী ওখানে অপেক্ষা করবে। স্বামী তাঁর কপালে শেষ চুম্বন করেন আর বলেন, আল্লাহ তোমাকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন আর যখন আল্লাহ তোমার সাথে সাক্ষাত্ করে তোমাকে জিজ্ঞাসা করবে তুমি আর কি চাও, তখন আল্লাহর কাছে বলো, ও আল্লাহ আমার স্বামীকে তুমি শহীদ হিসেবে কবুল কর! সূত্র : কুদসএন ওয়েবসাইট

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button