জাতীয় কবি নজরুলের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ঢাকাসহ সারাদেশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে বুধবার। কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমি, নজরুল ইনসিটিউটসহ নানা সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জাতীয় কবি কাজী নজরুলের গান, কবিতা ও বাণী বাঙালি জাতির জন্য উদ্দীপনা ও সঞ্জীবনী শক্তি বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। উপাচার্য বলেন, ধর্মান্ধ সামপ্রদায়িক অপতত্পরতার বিরুদ্ধে জাতিকে পরিচালিত করতে চাইলে নজরুল চর্চা ও অধ্যয়নের মাধ্যমে নজরুলের আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই।
বুধবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত কবির মাজারে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় উপাচার্য এসব কথা বলেন। উপাচার্য আরো বলেন, কবি নজরুলের মানবতাবাদী চেতনা, সাম্য ও মুক্তবুদ্ধির ধারণায় আমাদের আত্মজিজ্ঞাসা প্রবণ হতে হবে এবং নতুন প্রজন্মকে এর তাত্পর্য সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। নজরুল মানুষে-মানুষে কোন ভেদাভেদ দেখেননি, তার রচনা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিকে প্রেরণা যুগিয়েছে। উপাচার্য কবি নজরুলের বাণীকে কাল-পরম্পরায় অনাগতদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং মুক্তিযুদ্ধের জয়ধ্বনির উত্সমূল নির্ণায়ক বিদ্রোহী নজরুলের প্রেরণায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতি গঠনে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক সৌমিত্র শেখরের সঞ্চালনায় নজরুল গবেষক ও এমিরিটাস অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং বাংলা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ঢাবি সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদুল জামিয়ায় কোরআনখানি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকালে ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি জাতীয় কবির মাজারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় কবির মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়।