হামাসকে নিরস্ত্র করার প্রশ্নই ওঠে না : খালিদ মিশাল
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন বা হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা খালেদ মিশাল বলেছেন, তার সংগঠনকে নিরস্ত্র করার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ ইসরাইলের সাথে এটিই শেষ যুদ্ধ নয়। হামাসের অস্ত্র ও সামরিক শক্তির বিষয়টি কোনো আলোচনার ইস্যু নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। কাতারের রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মিশাল বলেন, হামাসের অস্ত্রের বিষয়টি ইসরাইলের সাথে ভবিষ্যতের কোনো আলোচনায় এজেন্ডাভুক্ত হবে না। গাজার পুনর্গঠনের বিষয়টির সাথে ইসরাইল ওই এলাকা নিরস্ত্রীকরণের ওপর জোর দিয়ে আসছে। কিন্তু খালিদ মিশাল বলছেন, তারা কখনো অস্ত্র সমর্পণ করবেন না। তিনি আরো বলেন, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সদ্য সমাপ্ত যুদ্ধটিই দুই পরে মধ্যে শেষ লড়াই নয়, বরং এটি ছিল ‘ল্েয পৌঁছার একটি মাইলফলক। আমরা জানি যে ইসরাইল শক্তিশালী এবং তাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সহায়তা করে। তাই বলে আমরা আমাদের স্বপ্ন ছোট করব না বা আমাদের দাবির সাথে আপস করব না।’
প্রবাসী এই নেতা বলেন, গাজা কখনোই তার ‘গোপন’ অস্ত্র ত্যাগ করবে না। তিনি বলেন, ‘রকেট আর সুড়ঙ্গ রয়ে গেছে। আলোচনা যদি ব্যর্থ হয়, তবে এগুলোর দরকার হবে। আমরা আমাদের ল্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যাবো।’ মিশাল বলেন, গাজায় ইসরাইলি অবরোধ ব্যর্থ হয়েছে। এই যুদ্ধ আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এটিই আমাদের মুক্তির পথে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়ে গেছে। ইসরাইলের সাথে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর তিনি এই মন্তব্য করলেন।
তিনি বলেন, এই যুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের ‘জেরুসালেম, আকসা মসজিদ এবং আমাদের পবিত্র স্থানগুলো মুক্ত করার কাছাকাছি নিয়ে গেছে’। মিশাল বলেন, এই যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল এটি ‘ভীতি প্রদর্শনের তত্ত্বকে ব্যর্থ করে দিয়েছে এবং যুদ্ধকে ইসরাইলের প্রাণকেন্দ্রে নিয়ে গেছে। তিনি ইসরাইল প্রসঙ্গে বলেন, ‘তাদের গোয়েন্দা সমতা দুর্বল হয়ে পড়ায় তাদের অভ্যন্তরীণ ফ্রন্ট অরতি হয়ে পড়েছে।’ হামাস নেতা বলেন, ‘গাজা পুনর্গঠন করা জাতীয় ঐক্য সরকার এবং মুক্ত বিশ্বের দায়িত্ব’।
তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, ফিলিস্তিনিরা অবরোধ প্রত্যাহার এবং গাজায় বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর নির্মাণের দাবি থেকে সরে আসবে না। তিনি রাফা সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেয়ার জন্য মিসরের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা ভ্রাতৃসুলভ আচরণ দেখিয়ে রাফা সীমান্ত খুলে দেয়ার জন্য মিসরের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি’। তিনি বলেন, গাজায় প্রতিরোধ আন্দোলনের জয়োল্লাস চলছে। গাজা ও ফিলিস্তিনের প্রতিটি মানুষ এই জয়ের অংশীদার।