বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ আমেরিকাতে !
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে আমেরিকাতে। প্রতি বছর গড়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৩৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষিতা হন আমেরিকায়।
ওয়ার্থ ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকায় প্রতি ২ মিনিটে একজন নারী যৌন হয়রানির শিকার হন। এদের মধ্যে ৪৪ ভাগ ভিকটিমের বয়স ১৮ বছরের নীচে।
৬০ ভাগ ভিকটিম পুলিশের কাছে কোনো ধরনের অভিযোগ করে না। যারা করেন তারাও তেমন প্রতিকার পান না। ৩৮ ভাগ ভিকটিম নিজেদের বন্ধু অথবা পরিচিতজনদের দ্বারা হয়রানির শিকার হন।
এক পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে যে, প্রতি ৬জন ধর্ষিতার মধ্যে ২জন নারী ধর্ষণের অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করতেও ভয় পান। কেননা তারা ভাবেন এর জন্য তারা ফের হেনস্থা হতে পারেন। এই ভয়াবহ পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে সে দেশেরই একটি মহিলা সংগঠন।
যে সকল ধর্ষিতা নারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়েছে তাদের অর্ধেকেরই অভিমত যে, তাদের পরিচিত মানুষরাই তাদের প্রতি বর্বর এই শারীরিক অত্যাচার করে থাকে। তবু তারা আইনের সাহায্য নিতে ইতস্তত করেন।
এই সমীক্ষা আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে, বছরে ১ লাখ মহিলা ধর্ষিতা হন নিজেদের সঙ্গীদের দ্বারা অর্থাৎ যাদের সাথে লিভ টুগেদার করেন অথবা ভালবাসা ও বিশ্বাসের সম্পর্কে আবদ্ধ হন তাদের দ্বারা।
আমেরিকায় ধর্ষণের ঘটনা জার্মানির থেকে চার গুণ বেশি। ইংল্যান্ড থেকে তেরো গুণ বেশি আর জাপানের তুলনায় ২০ গুণ বেশি।
ধর্ষিতা নারীরা বিচার পাবার আশায় পুলিশের কাছে যেতে ভয় পায়। কারণ বেশকিছু ধর্ষণের ঘটনায় খোদ পুলিশ কর্মীরাই অভিযুক্ত। আবার এমনকি অনেক ক্ষেত্রে পুরুষ পুলিশ কর্মীদের লালসার শিকার হয়েছেন মহিলা পুলিশ কর্মীরাও।
পুলিশের জিম্মাতেও নিরাপদ নন সাধারণ মহিলারা। নিউইয়র্কের বুকে ঘটে যাওয়া এমনই একটি ঘটনা এর অকাট্য প্রমাণ। নেশাগ্রস্ত এক মহিলাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে যায় কেনেথ মোরেনো এবং ফ্রাঙ্কলিন মাটা নামের নিউইয়র্কের দুই পুলিশ কর্মী। বাড়িতে পৌঁছে দিয়েই নিজেদের দায়িত্ব শেষ বলে মনে করেনি তারা।
অচেতন সেই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, সেই দৃশ্য সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছিল বাড়ির দরজায় প্রহরায় চৌকস পুলিশ কর্মী মাটা। আর সেই ফাঁকে নিজের কুপ্রবৃত্তি নিবৃত্ত করছে মোরেনো। এর আগেও ইস্ট ভিলেজ অঞ্চলের এক আবাসনে অপর এক মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল ওই দুই পুলিশ কর্মী কিন্তু প্রমাণের অভাবে এর বিচার করা যায়নি।
এবারের জঘন্য অপরাধের প্রমাণ হাতে নাতে থাকায় প্রশাসন বাধ্য হয়েছে এই দুই পুলিশ কর্মীকে তাদের বরখাস্ত করতে। -সূত্র: ওয়ার্থ ম্যাগাজিন।