ইসরাইলপন্থীর হামলায় আহত জর্জ গ্যালওয়ে
ব্রিটিশ এমপি জর্জ গ্যালওয়ে লন্ডনে হামলার শিকার হয়েছেন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। শহরের পশ্চিমাঞ্চলে ইসরাইলপন্থী এক ব্যক্তি তার ওপর হামলা চালায়। লন্ডনের নটিং হিল এলাকার গলবর্ন রোডে গ্যালাওয়ে তার ভক্তদের সঙ্গে ছবি তোলার সময় তিনি হামলার শিকার হন।
গ্যালওয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরাইল-বিরোধী সাম্প্রতিক বক্তব্যের কারণে তিনি হামলার শিকার হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মুখপাত্র জানান, ছবি তোলার সময় হঠাৎ করেই ওই ব্যক্তি গ্যালওয়ের ওপর হামলা চালায় এবং নাকে-মুখে ঘুষি মারতে থাকে। এতে তার মুখমণ্ডলে কালশিরে দাগ পড়ে গেছে।
ফিলিস্তিনপন্থী ব্রিটিশ এই এমপি’র বুক ও পিঠের সংযোগকারী একটি হাড় ভেঙে গেছে। এছাড়া, মুখমণ্ডল ও মাথায় তিনি মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। আহত অবস্থায় তাকে প্যাডিংটনের সেন্ট ম্যারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে জর্জ গ্যালওয়ে গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে তার নির্বাচনী এলাকাকে ইসরাইলমুক্ত ঘোষণা করেছিলেন এবং এ জন্য ব্রিটিশ সরকার তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়েছে। এছাড়া, তিনি ইসরাইলি পণ্য বর্জনের জন্যও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
রেসপেক্ট পার্টির এ নেতা কয়েক বছর ধরেই ইসরাইল বিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।
২০০৬ সালে ইসরাইল হেজবুল্লাহর হাতে মার খাওয়ার পর এক সমাবেশে গ্যালওয়ে বলেন, ‘হেজবুল্লাহ কখনোই সন্ত্রাসী সংগঠন ছিল না।’
২০০৯ সালে হামাসের একজন কর্মকর্তা গ্যালওয়েকে একটি ফিলিস্তিনি পাসপোর্ট উপহার দেন।
সে বছরই ফিলিস্তিনের জন্য সাহায্য সংগ্রহের অভিযানে নেতৃত্ব দেন তিনি এবং ১০ লাখ পাউন্ডের বেশি সাহায্য তুলে ফিলিস্তিনে পাঠান।
২০১২ সালের নভেম্বরে ব্র্যাডফোর্ডে এক ইসরাইল বিরোধী সমাবেশে গ্যালওয়ে বলেন, ‘আমরা ইহুদিদের ঘৃণা করি না। আমরা জায়নবাদকে ঘৃণা করি, আমরা ইসরাইলকে ঘৃণা করি। আমরা হত্যা এবং জুলুমকে ঘৃণা করি। নিজেকে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ঘোষণা করে ইসরাইল তাদের ধর্মগ্রন্থ তোরার অবমাননা করেছে।’
তিনি ব্রিটিশ-ইসরাইলি দ্বৈত নাগরিকত্ব বাতিলেরও দাবি জানান।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্যালওয়ে অক্সফোর্ডের ক্রিস্ট চার্চ কলেজের একটি বির্তর্ক থেকে বরে হয়ে যান যখন তিনি জানতে
পারেন যে তার প্রতিপক্ষ একজন ইসরাইলি।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি ইসরাইলকে স্বীকার করি না এবং কোনো ইসরাইলির সাথে বিতর্ক করি না।’