উত্তাল পাকিস্তান : সহিংসতায় নিহত ৩
পাকিস্তানের চলমান আন্দোলন সংঘর্ষে রূপ নেয়ার পর সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডারদের সাথে জরুরি বৈঠক করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ। শনিবার থেকে চলা সংঘর্ষে এ পর্যন্ত কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং ৪০০ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের খবরে বিােভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো ইসলামাবাদ, লাহোর ও করাচি শহরে। এ দিকে তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা ইমরান খান ও আওয়ামি তেহরিক নেতা তাহির উল-কাদরি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সাজা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ গত রাতে কোর কমান্ডারদের সাথে জরুরি বৈঠক করেছেন। রাজধানী ইসলামাবাদে বিােভকারীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ অব্যাহত থাকায় এই বৈঠক ডাকা হয়। শনিবার থেকে চলা সংঘর্ষে এ পর্যন্ত অন্তত তিনজন নিহত এবং ৪০০ জন আহত হয়েছেন।
দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা চলা এ বৈঠকে চলমান সঙ্কটের সমাধান রাজনৈতিকভাবেই করতে হবে বলে অভিমত প্রকাশ করা হয়।
সেনা মুখপাত্র বলেন, কোর কমান্ডারদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জেনারেল রাহিল শরিফ। বৈঠকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
উচ্চপর্যায়ের সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পাকিস্তানের ডন পত্রিকা জানিয়েছে, বিরাজমান অচলাবস্থা নিরসনের কৌশল নিয়েই এতে আলোচনা হয়।
বিরাজমান পরিস্থিতিতে সেনা কমান্ডারদের বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সরকার এবং তাহির-উল-কাদরির পাকিস্তান আওয়ামি তেহরিক (পিএটি) ও ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সেনাপ্রধানকে চলমান সঙ্কট নিরসনে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গ্রহণ করায় এর গুরুত্ব বেড়ে গেছে।
বিক্ষোভে উত্তাল ইসলামাবাদ : পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে শনিবার রাতে বিক্ষোভকারীদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে তিনজন নিহত ও চার শতাধিক আহত হয়েছেন। পরে মধ্যরাতে বিােভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো ইসলামাবাদ, লাহোর ও করাচি শহরে।
ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে, দুই সপ্তাহ ধরে বিরোধী নেতা ইমরান খান ও ধর্মীয় নেতা তাহিরুল কাদরির নেতৃত্বে কয়েক হাজার বিােভকারী অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। মূলত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের দাবিতেই কর্মসূচি পালন করছিলেন তারা।
শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর ইসলামাবাদের বাসভবন ঘেরাওয়ের জন্য মিছিল নিয়ে অগ্রসর হলে পুলিশ বিােভকারীদের ল্য করে গুলি, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এতে বিক্ষোভকারী ও পুলিশসহ উভয়পরে বেশ কয়েকজন আহত হন।