তমুদ্দন মজলিসের পথ বেয়েই স্বাধীন বাংলাদেশ

তমদ্দুন মজলিসের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশ তমদ্দুন মজলিসের ঐতিহাসিক অবদান। ১৯৪৭ সালে তমুদ্দন মজলিসের ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই স্বাধীন বাংলাদেশের আবির্ভাব। সেদিন তমদ্দুন মজলিস ভাষা আন্দোলনের ডাক না দিলে এত তাড়াতাড়ি বাংলাদেশের জন্ম হতো না।
সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব হলরুমে ‘জাতি গঠনে আদর্শবাদী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা এ মত দেন।বক্তারা বলেন, লাহোর প্রস্তাব তথা পাকিস্তান আন্দোলনের মূল ভিত্তির মধ্যেই স্বাধীন বাংলাদেশের সম্ভাবনার বীজ নিহিত থাকলেও ১৯৪৬ সালে দিল্লি আন্দোলনের মাধ্যমে সে সত্যটি চাপা দেয়ার চেষ্টা হয়েছে। ১৯৪৭ সালে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। তমদ্দুন মজলিস এ ষড়যন্ত্রের রুখে দাঁড়াতে ভাষা আন্দোলনের ডাক দিলেন। জনগণ সে ডাকে সাড়া দিয়ে রক্তাক্ত আন্দোলনে অংশ নেন।
তারা বলেন, আমাদের স্বাধীন জাতিসত্ত্বার ভিত্তি ইসলাম ও বাংলা ভাষা। তমদ্দুন মজলিস সূচনা পর্ব থেকে এ দুইটি প্রশ্নে কখনো আপোস করেনি।
তমদ্দুন মজলিসের সভাপতি অধ্যাপক এম এ সামাদ’র সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এম শমসের আলী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দীন খান, সাহিত্যিক ও সংগীত ব্যক্তিত্ব মোস্তফা জামান আব্বাসী, অধ্যাপক আবদুল গফুর, ড. মুহাম্মদ সিদ্দিক প্রমুখ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button