ব্রিটিশ জিহাদিদের দেশে ফেরা বন্ধ
ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত যেসব নাগরিক ইরাক এবং সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জিহাদিদের পক্ষে লড়াই করছে তারা আর দেশে ফিরতে পারছে না। এ ধরনের একটি নীতিমালা তৈরির প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। নীতিমালা অনুযায়ী, জিহাদে অংশগ্রহণকারীদের নাগরিকত্ব বাতিল না করলেও একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তারা ব্রিটেনে ফিরতে পারবে না। ইসলামিক স্টেট জিহাদিদের হুমকি মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন। কমপক্ষে ৫০০ নাগরিক ইরাকে ও সিরিয়ায় আইএস জিহাদী দলে ঢুকেছে। তবে এর সঠিক সংখ্যা দেশটির কোনো সংসদ সদস্য বলতে পারেননি।
সম্প্রতি এক ব্রিফিংয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, আইএস’র সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ব্রিটেনে এ পর্যন্ত ৬৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিহাদীদের দলে যোগ দিতে ইচ্ছুকদের পাসপোর্ট জব্দ করার জন্য আইন প্রণয়নের পরিকল্পনাও করেছে ক্যামেরনের মন্ত্রিসভা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি আইএস জিহাদীদের হামলার ভয়ে ব্রিটেনে সরকারিভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জোট সরকারে দ্বিমত
এদিকে নতুন আইনের পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন জোট সরকারের দুই শরিক দল কনজারভেটিভ পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটের মধ্যে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দল দুটির মধ্যে এখনো আলোচনা চলছে। তাদের মধ্যে সমঝোতা হলেই প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন হাউস অব কমন্সে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের নতুন দিকটি নিয়ে ভাষণ দেবেন।
রক্ষণশীলদের দাবি, চরমপন্থীদের পাসপোর্ট জব্দ করার ক্ষমতা রেখে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে। আর লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা বলছে, এ ক্ষেত্রে চাই সতর্কতা।
জোটের প্রধান শরিক দলটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ব্রিটিশ নাগরিকদের নাগরিকত্ব থাকবে ঠিকই, কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাঁরা দেশে (ব্রিটেনে) ফিরতে পারবে না। লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা প্রস্তাবটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দলটির সাবেক নেতা স্যার মেনজিস ক্যামবেল বলেছেন, নাগরিকদের রাষ্ট্রহীন করে রাখাটা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবৈধ।
এদিকে বিরোধীদল লেবার পার্টি ও পুলিশের দাবি, চরমপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা হোক, যার আওতায় কর্তৃপক্ষ জিহাদিদের ওপর কড়া নজরদারি ও তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে পারে।