শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে এখন প্রেরণাদায়ী বক্তা তিনি
ক্লাউডিও ভিয়েরা ডি ওলিভেইরা। ব্রাজিলের মন্টি সান্তোর অধিবাসী। জন্ম থেকেই তার মাথাটা নিচের দিকে ঝুলানো। হাত-পায়ের অবস্থাও কাজ করার উপযোগী নয়। জন্মের পর ডাক্তার তার মাকে বলেছিলেন, তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। অনেকে বলেছিলেন, তাকে খাবার দিও না। কারণ সে তো ইতিমধ্যেই মরে গেছে। ডাক্তার ও লোকজনের সব আশঙ্কাকে পরাজিত করে কাউডিও একজন হিসাবরক্ষক ও জনগণকে প্রেরণাদায়ী এক বক্তা।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে ৮ বছর বয়সে হাটুতে ভর করে হাটতে চেষ্টা করেন ক্লাউডিও। কিন্তু অনেকবার ব্যর্থ হলেও দমে যাননি তিনি। চেষ্টার এক পর্যায়ে হাটতে শেখেন তিনি।
ক্লাউডিও বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমি নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করতাম। অন্যের ওপর নির্ভর করাকে মোটেই পছন্দ করতাম না। আমি ধীরে ধীরে টিভি চালু করা, মোবাইল ফোন ধরা, রেডিও, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার শিখলাম। এ সব আমি একাই শিখেছি।
তার এই স্বাধীনচেতা ভাবই তাকে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সফল হতে সাহায্য করেছে। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ফিরি দি সানতানা থেকে অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে উত্তীর্ণ হন।
বর্তমানে তার জীবনযাত্রা একজন সুস্থ মানুষের মতোই। তিনি বেশ আত্মবিশ্বাসী। রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেও তার কোনো সংকোচ নেই। রাস্তায় তিনি নেচে গেয়ে বেড়ান। নিজের আকৃতির জন্য হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে পারেন না তিনি।
ক্লাউডিওর ভাষায়, আমি অন্যদের মতোই। কারো থেকে নিজেকে আলাদা মনে হয় না আমার।
তিনি বলেন, আমি একজন পেশাজীবি, আন্তর্জাতিক বক্তা। বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে আমন্ত্রণ পেলে তা আমি গ্রহণ করি।