রওজা স্থানান্তরের সংবাদ ব্রিটিশ দৈনিকের ফাটকা গুজব
মহানবীর (স.) রওজা মোবারক স্থানান্তরের সংবাদ নাকচ করে দিয়েছে সৌদি আরবের দুই পবিত্র মসজিদের (মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী) অভিভাবক কমিটি। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশকারী ব্রিটিশ দৈনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।
কমিটির মুখপাত্র আহমেদ আল মানসুরি বলেন, ‘এটি একজন গবেষকের ব্যক্তিগত অভিমত, যিনি একটা গবেষণায় তার মতের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। এটি মসজিদের অভিভাবক কমিটি অথবা রাষ্ট্রের মতামতকে বোঝায় না।’ শুক্রবার আরব নিউজ এ সংবাদ জানিয়েছে।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য কমিটির ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে জানিয়ে মুখপাত্র পবিত্র স্থান সম্পর্কে এ ধরনের ‘ফাটকা গুজব’ না ছড়ানোর আহ্বান জানান।
এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শকদের সঙ্গে ব্রিটিশ দৈনিক দু’টির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট ও ডেইলি মেইলে মহানবীর (স.) রওজা সরিয়ে ফেলা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের একজন আলেম এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব মসজিদে নববীর অভিভাবক কমিটির কাছে পাঠিয়েছেন।
তবে প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মহানবীর (স.) সমাধির চারপাশ ঘিরে অবস্থিত মসজিদে নববীর বহুবার সংস্কার ও পরিবর্ধন করেছে আরব শাসকরা, বিশেষ করে ওসমানি খিলাফতের সময়। এখানে ক্যালিগ্রাফিতে নবী এবং তার পরিবারের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে মহামূল্যবান এসব ক্যালিগ্রাফির সঙ্গে নবীর সমাধি ঢেকে রাখা সবুজ গম্বুজটিও ভেঙে ফেলার প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনায়। একই সঙ্গে নবীকে পার্শ্ববর্তী জান্নাতুল বাকিতে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে যেখানে নবী পরিবারের সদস্যরা শায়িত কিন্তু সেসব সমাধিতে কোনো নামফলক নেই।