বিশ্বের সবচেয়ে বড় হত্যা রহস্যের সমাধান !
সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বড় হত্যা রহস্যের সমাধান হলো রোববার। সৌজন্যে আধুনিক ফরেনসিক সায়েন্স। অন্তত দ্য মেইল পত্রিকার এমনটাই দাবি। ১৯৮৮ সালে পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেলে অন্তত পাঁচটি হত্যা করেছিল যে জ্যাক দ্য রিপার, তার আসল পরিচয় ফাঁস হয়ে গেল। তৎকালীন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড খুনিকে ধরতে পারেনি। শুধু নাম দিয়েছিল ‘জ্যাক দ্য রিপার’। প্রথম কোপে গলার নলি ফাঁক, তার পর নিহতদের পেট চিরে কারও জরায়ু, কারো কিডনি বের করে নেয়া নৃশংসতায় ‘অদ্বিতীয়’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সে। কে ছিলেন না সন্দেহের তালিকায়? রানি ভিক্টোরিয়ার নাতি থেকে শুরু করে চিত্রকর ওয়াল্টার সিকার্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হয়ে গেল, জ্যাক দ্য রিপার আসলে এক পোলিশ উন্মাদ অ্যারন কসমিনস্কি।
এখন প্রশ্ন উঠছে, তা হলে শতাব্দী প্রাচীন রিপারকে কিভাবে চেনা গেল? এর পিছনেও রয়েছে প্রায় এক অবিশ্বাস্য কাহিনী। ২০০৭ সালে এক নিলামে রাসেল এডওয়ার্ড নামে এক ব্যবসায়ী একটি শাল কিনেছিলেন। নিলামের সময় তিনি শুধু জানতেন, শালটি রিপার-রহস্যের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু পরে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারেন, শালটি ক্যাথরিন এডওয়ে হত্যার সময় খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ। রাসেল সেটি নিয়ে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। তখনই সেখানে দুই ব্যক্তির শতাব্দীপ্রাচীন ডিএনএ-র সন্ধান মেলে। সন্দেহের নিরসন করতে রাসেলের অনুরোধে বিশেষ প্রক্রিয়ায় শাল থেকে ১২৬ বছরের পুরনো ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করেন বিশেষজ্ঞ জারি লৌহেলেনেন। আর তার পর ক্যাথরিনের উত্তরসূরির সঙ্গে ডিএনএ-র নমুনা দুটি মেলান। একটার সঙ্গে মিলও পাওয়া যায়। অর্থাৎ একটি ডিএনএ ক্যাথরিনের। কিন্তু দ্বিতীয়টি কার? বিভিন্ন প্রমাণ দেখে রাসেলের সন্দেহ হয়েছিল অ্যারনই খুনি। তাই অ্যারনের এক উত্তরসূরির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন তিনি। আর তার পর শুরু হয় দ্বিতীয় ডিএনএ-র সঙ্গে মিল খোঁজার কাজ। এখানেও সাফল্য। অ্যারনের উত্তরসূরির সঙ্গে অবিশ্বাস্য মিল রয়েছে দ্বিতীয় ডিএনএ-র। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় ছবিটা।