ব্রিটেনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান স্কটল্যান্ডের
স্কটল্যান্ডকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আরও বেশি স্বায়ত্ত্বশাসন দেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন স্থানীয় সরকারের প্রধান আলেক্স স্যালমন্ড। ব্রিটিশ চ্যান্সেলর জর্জ অসবর্ন বলেছেন, আসন্ন গণভোটে স্কটল্যান্ডের অধিবাসীরা স্বাধীনতার বিপক্ষে ভোট দিলে তাদেরকে ট্যাক্স, জনকল্যাণ খাত ও চাকরি সৃষ্টির বিষয়ে আরও বেশি স্বাধীনতা দেয়া হবে। আলেক্স স্যালমন্ড আরও বলেন, স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটে যখন ‘হ্যা’ জয়যুক্ত হওয়ার পথে তখনি এ প্রস্তাব দেয়া হলো। শেষ মুহূর্তের এ প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।
‘ইউগভ’-র এক জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, স্কটল্যান্ডের ৫১ শতাংশ মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেবেন। সানডে টাইমস পত্রিকার খবরে আরো বলা হয়েছে-স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট নিয়ে ইংল্যান্ডের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ খুবই উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। গণভোটে স্বাধীনতাকামীরা বিজয়ী হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্রিটেনের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হবে। এছাড়া, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে পদত্যাগ করতে হতে পারে।
ব্রিটেনের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ট্রাইডেন্ট স্কটল্যান্ডে মোতায়েন রয়েছে এবং ক্ষমতাসীন দল এসএনপি বলেছে, স্কটল্যান্ড স্বাধীন হলে ২০২০ সালের মধ্যে এ সব ক্ষেপণাস্ত্র সরিয়ে নিতে হবে।
এর আগে, স্কটল্যান্ডের স্থানীয় সরকারের প্রধান স্যালমন্ড বলেছেন, স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হলে স্কটল্যান্ডের প্রত্যেক নাগরিকের বর্তমান বার্ষিক আয়ের সঙ্গে ১,২৩০ ইউরো যোগ হবে। দেশটির সরকার তাদের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য নর্থ সি’র তেল রিজার্ভ ব্যবহার করবে। বর্তমানে নর্থ সি’র তেল রিজার্ভ নিয়ন্ত্রণ করছে ব্রিটেন। ৩০৭ বছর ধরে ব্রিটেনের অংশ হিসেবে গণ্য হচ্ছে স্কটল্যান্ড।
আগাম ১৮ সেপ্টেম্বর দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এ গণভোট অনুষ্টিত হবে।