স্কটল্যান্ডের প্রতি রানী : খুব সতর্ক হয়ে ভাবুন

Raniস্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাকামিতা নিয়ে ঢাকঢাক গুড়গুড় শেষ হতে চলেছে, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ক একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এমন গুরুতর সময়ে অকস্মাৎ প্রথমবারের মতো সাবধানী মন্তব্য ছুঁড়লেন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তিনি  বললেন, ‘ভবিষ্যত নিয়ে খুব সতর্ক হয়ে ভাবুন।’
স্কটল্যান্ডের মানুষ ইতোমধ্যে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একভাগ স্বাধীনতা চাইছে, আরেক ভাগ চাইছে যুক্তরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্র হিসেবেই থেকে যেতে। লক্ষণীয়, দুই পক্ষেরই জনসমর্থনের মধ্যকার ব্যবধান খুব কম। এমন সময়ে এলিজাবেথ যেভাবে যা বললেন, তাতে দুই পক্ষই হাঁপ ছেড়েছে। এজন্যে যে, তিনি সরাসরি বিশেষ কোন একপেশে মতামত ফুঁকে দিতে চাননি।
তবে তার কথার মধ্যে ভিন্ন সুর খুঁজছেন অনেকেই এবং তার সুযোগও রয়েছে। স্কটল্যান্ড ইংল্যান্ডের সঙ্গে বিগত ৩০০ বছর ধরে যুক্ত হয়ে আছে। স্বাধীনতার দাবিটিও একাংশের মধ্যে তাই শতাব্দিপ্রাচীন। এলিজাবেথ সতর্ক হতে বললেন সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে। কিছু না বলে দিলেও ইংল্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার পক্ষাবলম্বী মতের ঘ্রাণ তাতে পাওয়া যায়।
রোববার স্কটল্যান্ডে নিজস্ব বালমোরাল এস্টেটে এসে সমবেত শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভিড়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এমন নিরপেক্ষ কিছু্ই তিনি বলবেন, অন্তত ১৮ সেপ্টেম্বরের পূর্ব পর্যন্ত, এমনটা আঁচ করা যাচ্ছিল বাকিংহাম প্রসাদের সাম্প্রতিক প্রজ্ঞাপনগুলো হতে। চলতি সময়ে রক্ষণশীল একাধিক রাজনীতিক কূটকৌশলীর প্রশ্নের বিপরীতেও তাকে সাবধানী হতে দেখা গেছে।
এটা সর্বজনবিদিত যে স্কটল্যান্ডের ওপর রাণীর পৃথক দুর্বলতা রয়েছে। প্রতি বছর গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপনের জন্যে তার পছন্দের স্থান স্কটল্যান্ডের বালমোরাল এস্টেট। স্কটল্যান্ডের বনাঞ্চলে তার নিয়মিত প্রমোদভ্রমণ আয়োজিত হয়, এখানেই তিনি ঘোড়ায় চড়ে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পান।
ধারণা করা হচ্ছে ১৮ সেপ্টেম্বরের পূর্বেই প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার ‘বেটার টুগেদার’ বা ‘একতাই সমীচিন’ শিরোনামের প্রচারণা নিয়ে স্কটল্যান্ডে আসবেন। তবে মন্তব্য প্রদানে সাবধানী থাকবেন তিনিও। এলিজাবেথ বা ক্যামেরন যে কারও যে কোন মন্তব্য স্ফূলিংগ হিসেবে কাজ করবে এমন সংবেদনশীল মুহূর্তে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button