স্কটিশ স্বাধীনতার দীর্ঘপথ
আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোট। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এবার স্বাধীন জাতি হিসেবে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা পেতে যাচ্ছেন স্কটিশরা। স্বাধীনতা অর্জনে তাদের পূর্ববর্তী ১০টি স্মরণীয় ধাপ এখানে তুলে ধরা হল।
২ নভেম্বর, ১৯৬৭ : স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি বিজয়ী হওয়ার পর জাতীয় স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম স্বপ্ন দেখা হয়। উইনি ইউঙের নেতৃত্বে সেবার লেবার পার্টিকে হারিয়ে নিজেদের মতো করে সরকার গঠন করে স্কটিশরা।
১ মার্চ, ১৯৭৯ : স্কটল্যান্ড অ্যাক্ট (১৯৭৮) অনুসারে স্কটিশ অ্যাসেম্বলি গঠনের পক্ষে প্রথম গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। তবে এটা স্কটিশদের উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়।
১ মে, ১৯৯৭ : রক্ষণশীল যুক্তরাজ্য সরকারের ১৮ বছরের শাসন শেষে টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে লেবার পার্টি ক্ষমতায় ফেরে। এতে স্কটিশ পার্লামেন্ট গঠনের ব্যাপারে গণভোট অনুষ্ঠানের প্রতিশ্র“তি দেয়া হয়।
১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ : স্কটিশদের দ্বিতীয় গণভোটে বিকেন্দ্রীকরণের পক্ষে ৭৪.৩ শতাংশ ভোট পড়ে। এতে করনির্ধারণের ক্ষমতা পার্লামেন্টের কাছে হস্তান্তরিত হয়।
১২ মে, ১৯৯৯ : এডিনবার্গে স্কটিশদের প্রথম পার্লামেন্ট কার্যক্রম শুরু হয়।
৩ মে, ২০০৭ : বিকেন্দ্রিক পার্লামেন্টে প্রথম স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। আলেক্স সালমন্ড প্রথম স্কটিশ প্রধানমন্ত্রী হন।
৫ মে, ২০১১ : ৬৯ সিট পেয়ে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি জয়লাভ করার পর সালমন্ড স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোট আয়োজনের কথা বলেন। ডেভিড ক্যামেরন তা মেনে নিতে বাধ্য হন।
২৬ নভেম্বর, ২০১৩ : আলেক্স সালমন্ড স্বাধীন স্কটল্যান্ডের প্রসপেক্টাস ঘোষণা করেন। ৬৪৯ পৃষ্ঠার ওই ঘোষণাপত্রে নতুন স্বপ্নে ভাসে স্কটিশরা।
৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ : এদিন প্রথম জরিপে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত বেশি পরিলক্ষিত হয়। নির্বাচন সামনে রেখে ইয়েস পাল্লা ভারি হয়ে ওঠে।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ : ১৬ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ৪৩ লাখ ভোটার স্কটিশ স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটে অংশ নেবেন।