স্কটল্যান্ডকে স্বাধীন করার হুমকি স্যালমন্ডের
স্কটিশ নেতা আলেক্স স্যালমন্ড ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রতারিত করার অভিযোগ এনে বলেছেন, প্রয়োজনে তিনি গণভোট ছাড়াই যুক্তরাজ্য ত্যাগ করতে পারে স্কটল্যান্ড।
গত সপ্তাহের গণভোটে স্কটিশরা যুক্তরাজ্যের সাথে থাকার পক্ষে ভোট দেয়। তবে অভিযোগ রয়েছে, ব্রিটিশ নেতারা নানা প্রলোভন দেখিয়ে স্কটিশদের প্রভাবিত করে। নির্বাচনের পর স্যালমন্ড স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার তথা মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন।
তিনি বলেন, না ভোটারা যানে না ভোট দেয়, সেজন্য ডেভিড ক্যামেরন, নিক ক্লেগ ও এড মিলিব্যান্ড স্কটিশদের হাতে আরো ক্ষমতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তিনি রোববার দাবি করেন, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য অনেকগুলো পথের মাত্র একটি হলো গণভোট। গণভোটে পরাজয় সত্ত্বেও ইউনিয়নের ‘ভাগ্য লিখা হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ভবিষ্যত নিশ্চিত। আমরা কেবল সময় এবং পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক করছি।’
স্কাই নিউজকে শনিবার দেয়া সাক্ষাতকারে স্যালমন্ড বলেছিলেন, স্বাধীনতার পথ ধরে স্কটল্যান্ড অনেক উন্নতি করতে পারে।
তিনি স্বাধীনতা অর্জনের পথে নানা অর্জনের কথা তুলে ধরে বলেন, তাদের নিজস্ব পার্লামেন্ট রয়েছে। ক্ষমতাও আসছে। এরপর হয়তো স্বাধীনতাও আসবে। অনেক দেশ এভাবেই স্বাধীন হয়েছে।
এদিকে স্কটিশদের স্বাধীনতা থেকে বিরত রাখার জন্য তাদের হাতে আরো ক্ষমতা দেয়ার যেসব প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, তা রক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্রিটিশ নেতারা। ব্রিটেনের প্রধান তিন দলই কর, জনকল্যাণ ও ব্যয় প্রশ্নে স্কটল্যান্ডকে আরো ক্ষমতা প্রদানের ওয়াদা করেছিল। কিন্তু এখন সেগুলো কবে নাগাদ তা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন আগামী মার্চে কমন্সসভায় এ নিয়ে ভোটাভুটির প্রস্তাব করেছেন। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ‘ইংলিশ আইনের জন্য ইংলিশ ভোট’ নামের যে প্রস্তাব করেছেন, তাতে লেবার পার্টি ক্ষুব্ধ হয়েছে।