এশিয়ায় নজির সৃষ্টি করে ভারতের মঙ্গল জয়
বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হল ভারত। প্রথম প্রচেষ্টাতেই মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করে ভারত বিশ্বের প্রথম দেশের সম্মান পেল। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ‘ইসরো’র এই সাফল্যে সমস্ত দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে খুশির হাওয়া।
বুধবার সকালে মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করে ভারতের মঙ্গলযান। ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এর প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৭ টা ১৭ মিনিটে ৪৪০ নিউটন লিকউইডের অপোজি মোটর এবং ৮টি ছোট তরল ইঞ্জিন ২৪ মিনিটের জন্য চালু হয়। ওই সময় মঙ্গলযানটির গতি প্রতি সেকেন্ডে ২২.১ কিমি থেকে কমিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৪.৪ কিমি করে দেয়া হয়। আর এতেই মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করে মঙ্গলযান।
উল্লেখ্য, মঙ্গল গ্রহ অভিযানে আজ পর্যন্ত সাফল্য পায় নি কোনো দেশ। ৩২৩ দিন মহাকাশে কাটিয়ে মঙ্গলগ্রহে পাড়ি দিয়েছে ভারতের মঙ্গলযান। এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ভারত যে চীন, জাপানের মত হেভিওয়েট দেশকে পেছনে ফেলে দিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ভারতের এই বিরল সাফল্যের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে বেঙ্গালুরুতে ইসরো কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ইসরো’র বৈজ্ঞানিক এবং দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘কম খরচে এত বড় কাজ করে দেখিয়েছেন আমাদের বিজ্ঞানীরা। আজ মঙ্গলের ‘মম’(মারস অরবিটর মিশন)-এর দেখা হল। এর নাম যখন মম (MOM) রাখা হয়েছিল তখনই বুঝতে পেরছিলাম মা কখনো ছেলেকে হতাশ করে না।’
২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ২টা ৩৬ মিনিটে ইসরো’র শ্রীহরিকোটা থেকে যাত্রা শুরু করে মঙ্গল যান। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল –সি ২৫ এর সাহায্যে এই যানটিকে ছাড়া হয়। এই মিশনে ৪৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।
মঙ্গলে পৌঁছানোর জন্য আমেরিকার ৬ বারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। রাশিয়াও কয়েকবার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর সাফল্যের মুখ দেখে। চীন, জাপান এখনো মঙ্গলে পৌঁছতে পারেনি। কিন্তু এক্ষেত্রে ভারত প্রথম প্রচেষ্টাতেই সফল হয়েছে। এর ফলে বিশ্বে চতুর্থ এবং এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ভারত সফল হলো এই মিশনে।