রুবেলের মৃত্যুর তদন্তের দাবীতে লন্ডনে হোম অফিস ঘেরাও

Rubelসৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ: রুবেলের মৃত্যুর তদন্তের দাবীতে ব্রিটিশ হোম অফিস ঘেরাও করে মানব বন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে হাজার হাজার নারী পুরুষ।
মঙ্গলবার বেলা ১ টা থেকে ২টা পর্যন্ত এ কর্মসুচী চলে। হোম অফিসের বাইরে ব্রিটেনের প্রবাসী বাঙালিদের বিভিন্ন সংগঠণ এবং ব্রিটিশ ও অন্যান্য জাতির চ্যারিটি এবং মানবাধিকার সংগঠণগুলো এই মানব বন্ধন ও ঘেরাও কর্মসূচীতে হাতে ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন। ব্যানার ফেস্টুনে লেখা ছিলো জাস্টিস ফর রুবেল, উই ওয়ান্টস দ্য ট্রুথ। এ সময় ব্রিটেনের মূলধারার সংগঠণ মুভম্যান্ট ফর জাস্টিস, আরএমপি, বাংলাদেশীদের সংগঠণ ভয়েস জাস্টিস ছাড়াও প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যানারে হাজারো লোকসমাগম হয়।
হোম অফিসের দক্ষিণ গেটের পূর্ব প্রান্ত থেকে উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত পুরো রাস্তা ও প্যাসেজ প্রবাসীদের দ্বারা ১ ঘন্টারও কিছু সময় পর্যন্ত ব্যানার হাতে সারিবদ্ধভাবে শান্তি পূর্ণ অবস্থান করতে দেখা যায়। মূলধারার অনেক মিডিয়া এবং রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মী সহ এমনেস্টির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
অবস্থান কর্মসূচীর সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কর্মী আনসার আহমদ উল্লাহ, জাস্টিস ফর রুবেলের ডাঃ আনিসুর রহমান, কমিউনিটি নেতা ও লন্ডন বাংলার সম্পাদক কে এম আবু তাহের চৌধুরী, আফজাল হোসেন, শাহরিয়ার আলী, ব্রিটিশ মানবাধিকার কর্মী অ্যান্তোনিয়া, জে ই গার্ডনার, জামাল খান সহ আরো অনেকে।
সমাবেশ শেষে জাস্টিস ফর রুবেল ক্যাম্পেইন কমিটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল হোম অফিসে গিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে সুস্পষ্টভাবে দুটি দাবী তুলে ধরা হয়েছে, আর তাহলো-০১) রুবেলের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত করা এবং ০২) তদন্তের ভিত্তিতে যদি কোন কর্মকর্তা বা দায়িত্বরত কারো কোন অবহেলা পরিলক্ষিত হয়, তাহলে সেই কর্মকর্তাকে  আইনের  হাতে নিয়ে আসা।
এদিকে  হোম অফিসের সাথে যোগাযোগ করা হলে এখনি তারা এনিয়ে কোন বক্তব্য প্রকাশ করতে অপারগতা জানান। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানিয়েছেন, হোম অফিস এখনো তাদের আগের বক্তব্যে অটুট। হোম অফিস আগেই জানিয়েছিলো রুবেল আত্মহত্যা করেছেন।
ব্রিটেনে রুবেলের পারিবারিক আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানালেন, তারা এখন অপেক্ষা করছেন পোস্টমর্টেম রিপোর্টের দ্বিতীয় অপিনিয়নের। দ্বিতীয় অপিনিয়ন পাওয়ার পর তারা তাদের কর্মপন্থা নির্ধারন করবেন আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করে।
উল্লেখ্য পোস্টমর্টেম দ্বিতীয় অপিনিয়ন অফিসিয়ালী কিংবা ডাক্তারী সূত্রে সঙ্গত না হলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুরোধ করার নিয়ম আছে, সেক্ষেত্রে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য অনুরোধকারিকে ব্যয় বহন করতে হতে পারে, যদি না পর্যাপ্ত এভিডেন্স উপস্থিত না থাকে যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সুরতহালের জন্য প্রথম রিপোর্টে যথেস্টভাবে সন্দেহ রয়ে গেছে। এটা শুধু মুখে সন্দেহ বললেই যথেস্ট নয়। তার জন্য চাই যথেস্ট পয়েন্টস এবং অন্যান্য সকল বিষয়ের উপস্থিতি। এবং সেটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আইনী অনেক প্রশ্নও এখানে জড়িত হয়ে পড়ে- এমনটাই জানালেন  ওয়েস্টমিনিস্টারের  একজন আইনজীবী।
প্রকাশ থাকে যে ব্রিটিশ বাংলাদেশী রুবেল আহমদ কিছুদিন  ব্রিটেনের ডিটেনশন সেন্টারে থাকা অবস্থায় আকস্মিকভাবে মৃত্যু বরন করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button