শেখ হাসিনার ৬৮তম জন্মদিন
বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৮তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।
শেখ হাসিনার শিাজীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হওয়ার পর তার পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। শেখ হাসিনা ভর্তি হন টিকাটুলির নারীশিা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে। ১৯৬৫ সালে তিনি আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন ঢাকার বকশী বাজারের তৎকালীন ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ) থেকে। সে বছরই ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি কলেজ ছাত্রী সংসদের সহসভানেত্রী পদে নির্বাচিত হন। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। কারাবন্দী পিতা বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে শেখ হাসিনার বিয়ে হয় ১৯৬৮ সালে। ১৯৮১ সালের ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা।
১৯৯৬ সালের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
পরে বহুল আলোচিত ১/১১-এর পর ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। অবশেষে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট নেত্রী হিসেবে তিনি আবারো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সরকারের মেয়াদ শেষে গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিরোধী জোটবিহীন ‘একতরফা’ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশ পরিচালনা করছেন তিনি।
এ দিকে জন্মদিনে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে ফুলের তোড়া উপহার দেবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। এ ছাড়া জন্মদিন উপলে আজ বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টায় ঢাকেশ্বরী মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া এতিমখানাসহ দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করবে আওয়ামী লীগ।