ঈদে প্রস্তুত ঢাকার বিনোদন কেন্দ্রগুলো

Parkনানা কারণে যারা সবার সঙ্গে বাড়িতে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে যারা ঢাকায় ঈদ করছেন, বাসায় থেকে একঘেয়েমি কাটিয়ে তুলতে যেতে পারেন বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে। রাজধানীতে এমন কেন্দ্রের অভাব নেই। এসব কেন্দ্রগুলো নগরবাসীর জন্য বিনোদনের পসরা সাজিয়ে অপেক্ষা করছে।
প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে আপনি যেতে পারেন ঢাকার বিভিন্ন পার্কে। এক্ষেত্রে এ নির্মল বিনোদনের জন্য আছে সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, ধানমন্ডি লেক, সংসদ ভবন-চন্দ্রিমা উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেনসহ বিভিন্ন পার্ক; যেখানে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ফুচকা খেতে খেতে অনায়াসে দীর্ঘক্ষণ আড্ডা দিতে পারেন। কিংবা নদীর বুকে সূর্যাস্ত দেখতে চাইলে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা বা মেঘনা নদীর তীরেও চলে যেতে পারেন।
চাইলে ছোটখাট একটা নৌকা ভ্রমণও সেরে ফেলতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রে আগে থেকেই যদি সাঁতার জানা থাকে তাহলে নৌকা ভ্রমণের আনন্দ হয়ে উঠবে আরও নির্মল। যদি এ নৌ-ভ্রমণে আরও আনন্দদায়ক কিছু যোগ করতে চান, তাহলে নদীর মাঝখানে ছোট, বড়, মাঝারি নানারকম চরের যেকোনো একটি বেছে নিয়ে সেখানে কাটিয়ে আসতে পারেন বেশ কিছুটা সময়। তবে এক্ষেত্রে মোটামুটি মাঝারি বা বড়সড় একটি দল নিয়ে যাওয়াটা বাঞ্ছনীয় আপনারই নিরাপত্তার জন্য।
আর নৌ-ভ্রমণ শেষ হলে নৌকা থেকে নেমে ঘাটের পাশে অবস্থিত অস্থায়ী টং দোকানগুলো থেকে গরম গরম চা বা নানারকম ভাজাপোড়া বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দমত, যা আপনাকে নদীর বুকে সূর্যাস্ত দেখায় যোগ করবে বাড়তি মাত্রা।
আর সূর্যাস্তের পরে যদি সূর্যোদয়ও দেখার মনোবাসনা জাগে তাহলে পদ্মা বা যমুনা রিসোর্টে গিয়ে থাকতে পারেন এক-দু’দিন। তবে একথা বলাই বাহুল্য- সেক্ষেত্রে আপনাকে গুণতে হতে পারে তুলনামূলক মোটা অঙ্কের টাকা।
পরিবারের শিশু কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে চাইলে চলে যেতে পারেন ঢাকার অদূরে এমিউজমেন্ট পার্ক নন্দন বা ফ্যান্টাসি কিংডমে। নন্দনে আপনার জন্য ড্রাই পার্কের পাশাপাশি আছে ওয়াটার ওয়ার্ল্ড, আর ফ্যান্টাসি কিংডমে এ দু’টির পাশাপাশি আছে হেরিটেজ পার্ক। আর কাছাকাছির মধ্যে আছে গুলাশানের ওয়ান্ডারল্যান্ড, শ্যামলীতে শিশুমেলা, শাহবাগে জাতীয় শিশু পার্ক ইত্যাদি। এসব পার্কে সারাদিন মজা করার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও আছে। আর আছে গ্রাহকদের সুবিধার জন্য সুলভমূল্যে নানারকম প্যাকেজ যেগুলোতে খাওয়া দাওয়াসহ নানারকম রাইডেও চড়তে পারবেন আপনি।
এছাড়াও সারাদিন বাসায় আত্মীয়-পরিজনের ভিড় সামলানোর পরে পরিবার নিয়ে একান্ত কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে রাতের খাবারটা সেরে নিতে পারেন কোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে। পরিবারের সাথে সময় কাটানোর পাশাপাশি খাবারেও যোগ হবে বাড়তি মাত্রা।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button