আধুনিক দাস ব্যবসা বাড়ছে ব্রিটেনে
ব্রিটেনে দাসত্বের নিগড়ে বাঁধা মানুষের সংখ্যা গত বছর শতকরা ২২ ভাগ বেড়েছে। অনলাইন ডেটিং, সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো ও ইন্টারনেটে চাকরির বিজ্ঞপ্তিকে শিকার ধরার জন্য ব্যবহার করা হয়। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) ২০১৩ সালে দুই হাজার ৭৪৪ জন মানুষ পাচারের শিকার হয়েছে বলে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ২০৬ জন শিশু। ৪০ শতাংশের বেশি নারীকে যৌনব্যবসায় ও ৩০ শতাংশকে শ্রমিক হতে বাধ্য করা হয়েছে।
তৃতীয় বার্ষিক মানব পাচার রিপোর্টে রোমানিয়াকে পরপর তৃতীয় বছরের মতো মানবপাচারের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিকে যৌনব্যবসায়ের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। আর শ্রমিক পাচারের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে পোল্যান্ড। ব্রিটেনে দাসত্বের শিকার মানুষের সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন। তবে গবেষণায় দেখা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানবপাচার বেড়ে গেছে। এ জন্য সরকার দাসব্যবসায় সামাল দেয়ার জন্য একটি বিল পাসে বাধ্য হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের সংঘটিত অপরাধ ও আধুনিক দাসব্যবসায়বিষয়ক মন্ত্রী কারেন ব্র্যাডলি আধুনিক দাসত্বকে জঘন্য অপরাধ বলে উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান সমাজে এর কোনো স্থান নেই। তিনি বলেন, তারপরও আমাদের দেশে পর্দার আড়ালে, সুরম্য ভবনগুলোতে, এমনকি রাস্তার পাশেও এ অপরাধ ঘটছে। এনসিএর একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্র্যাডলি এ বিবৃতি দেন।
মানবাধিকার সংস্থা ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশনের বৈশ্বিক দাসত্বের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে প্রায় তিন কোটি মানুষকে বিভিন্নভাবে দাস বানিয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পতিতালয়ে পাচার করা নারী, জোর করে শ্রমিক বানানো, ঋণপত্রের বন্দী ও মায়ের দাসত্বকালে জন্ম নেয়া সন্তান। সংগঠনটির হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশি লোককে দাস বানিয়ে রাখা হয়েছে।