পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

Hajj‘লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক। লাব্বায়েক লা শরীকালাকা লাব্বায়েক’ আজ থেকে শুরু হলো মহান আল্লাহর দরবারে হাজীরানা জানান দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা অর্থ্যাৎ আজ থেকে পবিত্র হজ শুরু।  সারাবিশ্ব থেকে সৌদি আরবে  আসা হজযাত্রীরা ইহরাম বাঁধা অবস্থায় ৪/৫ দিনের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নিয়ে উচ্চস্বরে তালবিয়া পড়তে পড়তে আজ পবিত্র মিনা’য় গিয়ে জড়ো হতে শুরু করেছেন। মহান আল্লাহতায়ালার একত্ব ও মহত্ত্বের কথা বিঘোষিত হবে সারাক্ষণ। আল্লাহতায়ালা এবং বান্দার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের অনন্য আবহে বিরাজ করবে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের এক অসাধারণ দৃশ্য। মীনায় হাজীরা যোহর, আছর, মাগরিব ও এশা’র নামায আদায় করবেন।
আগামীকাল শুক্রবার হবে হজের সবচেয়ে বড় আনুষ্ঠানিকতা। প্রায় ৩০ লাখ হজযাত্রী ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দান লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক ধ্বনিতে প্রকম্পিত করবেন।
শুক্রবার ফজরের নামাযের পর আরাফাত ময়দানে গিয়ে অবস্থান নিবেন হাজীরা। আরাফার ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকতে হবে। সূর্যাস্তের পর মুযদালিফার উদ্দেশ্যে আরাফার ময়দান ত্যাগ করবেন এবং মুযদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশা’র নামায একত্রে পড়বেন এবং সমস্ত রাত অবস্থান করবেন। মীনায় জামরাতে নিক্ষেপ করার জন্য ৭০টি কংকর এখান থেকে সংগ্রহ করবেন। মুযদালিফায় ফজরের নামায পড়ে মীনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন।
পবিত্র মক্কা থেকে প্রায় ৯ মাইল পূর্বদিকে একটি পাহাড়ের নাম ‘জাবালুর রহমত’ বা করুণার পাহাড়। এই পাহাড় সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রলম্বিত বিরাট প্রান্তরটি আরাফাত প্রান্তর নামে পরিচিত। পাহাড়টি মধ্যম আকৃতির এবং গ্রানাইট শিলা দ্বারা গঠিত। এর উচ্চতা প্রায় ২০০ ফুট। এই পাহাড়ের পূর্বদিকে প্রস্তরের সিঁড়ি রয়েছে। এর ষষ্ঠ ধাপের উচ্চতা বরাবর আগে একটি উন্নত মঞ্চ ও একটি মিম্বর ছিল। এই মিম্বরে দাঁড়িয়ে প্রতি বছর ৯ জিলহজ্ব আরাফার দিন ইমাম সাহেব খুতবা প্রদান করতেন। এখন আর সেই মঞ্চ ও মিম্বার নেই এবং এখান হতে হজ্বের খুতবাও প্রদান করা হয় না। বরং এখন খুতবা দেয়া হয় মসজিদে নামিরা হতে।
এদিকে, হজযাত্রীদের যাতে কোন কষ্ট না হয় সে জন্য সৌদি আরব সরকার নিয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। অত্যধিক গরম সহনীয় করতে বাষ্পাকারে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা থাকছে। মক্কা নগরীতে নিয়োজিত করা হয়েছে নারী সহ ১৫ হাজার কর্মী। তারা হজের আগে ও পরে পবিত্র মসজিদে হজযাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করবেন। পবিত্র মক্কার গভর্নর প্রিন্স মিশাল বিন আবদুল্লাহ বলেছেন, আল্লাহর অতিথিদের প্রয়োজনীয় যে কোন সেবা দিতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন, যাতে হজযাত্রীরা সহজে ও নিরাপত্তার সঙ্গে হজব্রত পালন করতে পারেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button