নিয়ম মেনে লতিফ সিদ্দিকীকে অপসারণ : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে তিনি (লতিফ সিদ্দিকী) যে কথা বলেছেন তা কারো কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এ কথা জানার পর সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে একজন মন্ত্রীকে অপসারণ করতে কতগুলো নিয়ম মানতে হয়। নিয়ম মেনেই তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হবে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন আগ্রহ দেখালাম তখন কোনো খবর ছিল না। এখন কার সাথে আলোচনা করবো? দুর্নীতিবাজ ও হত্যাকারীদের সাথে কোনো আলোচনা নয়।
শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি যেটা বলেছি সেটাই হবে। তিনি (লতিফ সিদ্দিকী) আর মন্ত্রিসভায় থাকছেন না। তবে একজন মন্ত্রীকে অপসারণ করতে হলে কতগুলো নিয়ম মানতে হয়। সংবিধান ও রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী একজন মন্ত্রীকে অপসারণ করতে হয়। হয় তাকে পদত্যাগ করতে হবে, পদত্যাগ না করলে বিদায় নিতে হবে। এ জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতি ও ক্যাবিনেট সচিব হজে আছেন। তারা দেশে ফিরলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার বিরুদ্ধে ফাইল প্রস্তুত করে রাখতে বলেছি। অফিস খুললেই তা নিয়ে আসবে।
যুক্তরাষ্ট্রে টাঙ্গাইল সমিতির আলোচনা সভায় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে সরকার বেকায়দায় পড়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যে সরকার নয়, তিনি নিজেই বেকায়দায় পড়েছেন। কারণ সরকার তো একথা বলেনি। এতে সরকারের বেকায়দায় পড়ার কিছু নেই।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, কেউ যদি অবিবেচকের মতো কথা বলে সেটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তার দায় সরকার নেবে না।
দল থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং ডাকতে হবে। মিটিং নীতি-নির্ধারণী ফোরামে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আপত্তি তুলে ধরা হবে। এরপর সে অনুযায়ী ওয়ার্কিং কমিটি ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সাথে কোনো ধরনের সংলাপের সম্ভাবনা আবারো নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন আগ্রহ দেখালাম তখন কোনো খবর ছিল না। এখন কার সাথে আলোচনা করবো? দুর্নীতিবাজ ও হত্যাকারীদের সাথে কোনো আলোচনা নয়।
প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে এবং নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে আমাদের সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন বিশ্ব নেতারা। একইসাথে তারা আমাদের দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেছেন।
বিনিয়োগবান্ধব দেশ গড়তে উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। এমডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এসব সাফল্য অর্জনে জাতিসংঘে বাংলাদেশে ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর হয়ে চলেছে।
নিজ বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জানান, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাফল্য দেখানোয় জাতিসংঘে বাংলাদেশ সমাদৃত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। এমডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এসব সাফল্য অর্জনে জাতিসংঘে বাংলাদেশে ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর হয়ে চলেছে।